বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতে (India) করোনাভাইরাস রোখার জন্য টিকাকরণের (Vaccination In India) সংখ্যা ৩২ কোটি পার করল। দেশে রবিবার ১৭ লক্ষ ২১ হাজার ২৬৮ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এরপর দেশে মোট টিকা প্রাপকদের সংখ্যা বেড়ে ৩২ কোটি ৩৬ লক্ষ ৬৩ হাজার ২৯৭ হয়েছে। আর এর সাথে সাথেই ভারত বিশ্বের মধ্যে সবথেকে বেশি টিকা দেওয়া দেশ হয়ে উঠল। এ বছরের ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে টিকাকরণ অভিযান শুরু হয়। ব্রিটেনে ৮ ডিসেম্বর আর আমেরিকার ১৪ ডিসেম্বর থেকে টিকাকরণ অভিযান শুরু হয়েছিল। এছাড়াও জার্মানি আর ফ্রান্সে ২৭ ডিসেম্বর থেকে টিকাকরণ অভিযান শুরু হয়।
রিপোর্ট অনুযায়ী, সোমবার ২৮ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত ব্রিটেনে ৭ কোটি ৬৭ লক্ষ ৭৪ হাজার ৯৯০ জন টিকা পেয়েছেন। আমেরিকার ৩২ কোটি ৩৩ লক্ষ ৩২৮ জন, ইতালিতে ৪ কোটি ৯৬ লক্ষ ৫০ হাজার ৭২১ জন, জার্মানিতে ৭ কোটি ১৪ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫১৪ জন আর ফ্রান্সে এখনও পর্যন্ত ৫ কোটি ২৪ লক্ষ ৫৭ হাজার ২৮৮ জন টিকা পেয়েছেন। আর ভারতে এখনও পর্যন্ত ৩২ কোটি ৩৬ লক্ষ ৬৩ হাজার ২৯৭ জন টিকা পেয়েছেন।
বলে দিই, ভারতে অনলাইন আর অনসাইট রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা আছে। ভ্যাকসিনেশন করা নাগরিক CO-Win পোর্টাল, আরোগ্য সেতু আর উমং অ্যাপের মাধ্যমে নিজের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। এছাড়াও টিকাকরণ কেন্দ্রে গিয়েও নিজের নাম নথিভুক্ত করা যাবে। দেশে তৃতীয় দফার টিকাকরণের জন্য ২৮ এপ্রিল থেকে কোউইন অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে।
ভারতে টিকাকরণ অভিযানের ১৬৩ তম দিন ২৭ জুনে ১৩.৯ লক্ষ প্রথম ডোজ আর ৩.৩ লক্ষ দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। দেশে এই বছরের এপ্রিল মাস থেকে ৪৫ বছর বয়সের অধিক সমস্ত নাগরিকের জন্য টিকাকরণ অভিযান শুরু করা হয়েছে। এছাড়াও ১ মে থেকে ১৮-৪৪ বছর বয়সী নাগরিকদের ভ্যাকসিনেশন শুরু করানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করোনার টিকা নিয়ে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া গুজবে বিরাম টানতে রবিবার নিজের রেডিও অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত”-এ মানুষকে টিকা নেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। প্রধানমন্ত্রী সবাইকে আবেদন করে বলেন যে, আপনারা যে এটা না ভেবে বসেন যে বৈশ্বিক মহামারী শেষ হয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ভাইরাস নিজের রূপ বদলায়, আর এই কারণে এই ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য টিকা নিন। তিনি বলেন, আমি নিজে এবং আমার ১০০ বছর বয়সী মা-ও টিকা নিয়েছেন।