বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে মধ্য এশিয়ার সাথে ভারতের (India) বাণিজ্যিক যোগাযোগের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় পাকিস্তান। সেই সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে ভারতের (India) তরফে ইরানের চাবাহারে শুরু হয় বন্দর তৈরির কাজ। সম্পূর্ণভাবে বন্দর তৈরির কাজ শেষ না হলেও সেই বন্দর চালু হয়েছে বেশকিছু দিন।
ভারতের (India) বিরুদ্ধে হিংসা পাকিস্তানের
ভারত (India) চাবাহারের বন্দর দিয়ে এখনো পর্যন্ত পরিবহণ করেছে প্রায় ৮৫ লক্ষ মেট্রিক টন কার্গো। অন্যদিকে, ইরানের চাবাহার থেকে মাত্র ১৭০ কিলোমিটার দূরে পাকিস্তানের গ্বদরে নয়া বন্দর তৈরির কাজে নেমেছে চিন। আর এই গ্বদর বন্দর নিয়েই এখন ‘ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা পাকিস্তানের (Pakistan)।
আরোও পড়ুন : অভয়ার আবেগকে কাজে লাগিয়ে টাকা তুলেছিল JDF? প্রশ্ন উঠতেই উধাও ওয়েবসাইট
ইরানের চাবাহারের বন্দর নিয়ে যখন ভারতের প্রত্যাশার খাতা ক্রমে দীর্ঘ হচ্ছে, তখন অন্যদিকে গ্বদর বন্দর নিয়ে মাথায় হাত ইসলামাবাদের। পাকিস্তানের গদ্বরে বন্দর তৈরিতে জলের মতো খরচ হয়েছে টাকা। অন্যদিকে, বালুচদের বিদ্রোহী সত্তাকে উস্কে দিয়েছে গ্বদর বন্দর। এই বন্দর তৈরির কাজে স্থানীয়দের কাজ না দিয়ে, চিন নিজেদের কর্মচারীদের নিয়োগ করেছে নির্মাণ কাজে, সেই কারণে ক্ষোভের আগুনে ফুঁসছেন বালুচরা।
আরোও পড়ুন : “মধ্যরাতের সিদ্ধান্ত” অত্যন্ত “অপমানজনক”, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের প্রসঙ্গে গর্জে উঠলেন রাহুল
সেইসাথে বন্দর তৈরির কাজের জন্য সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়াও কার্যত বন্ধ স্থানীয়দের। সবমিলিয়ে স্থানীয় বালুচদের বিদ্রোহে চোখে সর্ষে ফুল দেখছে পাক প্রশাসন। অপরদিকে আবার ইরানের সাথে আমেরিকার আদায় কাঁচকলায় সম্পর্কের কথা জানা অনেকেরই। ইরানের সাথে সম্পর্ক রাখলে সেই দেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে মার্কিন প্রশাসন।
তবে সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ভারত (Iran)। বাইডেনের রাজত্বকালে নিষেধাজ্ঞার তালিকা থেকে বাদ রাখা হয়েছিল ভারতকে। তবে সেই ছাড় খাতায়-কলমে ট্রাম্পের অভিষেকের পর তুলে নেওয়া হলেও আমেরিকা সেটা এক্সিকিউট করবে না বলেই সূত্রের খবর। এমনকি আমেরিকায় সদ্য অনুষ্ঠিত মোদি-ট্রাম্প বৈঠকেও চাবাহার প্রসঙ্গ তোলেননি নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রপতি।

পাশাপাশি এই বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, মুম্বই হামলায় জড়িত তাহাউর হুসেন রানাকে আমেরিকা থেকে ডিপোর্ট করা হবে ভারতে। এই আবহেই পরিস্থিতি বিবেচনা করে ক্ষোভে ফুঁসছে ইসলামাবাদ। পাক বিদেশমন্ত্রক বলছে, ভারত ও আমেরিকার যৌথ বিবৃতিতে পাকিস্তানের নাম টেনে আনা উচিত হয়নি। এই বিবৃতি সম্পূর্ণভাবে একতরফা, বিভ্রান্তিকর এবং কূটনৈতিক নিয়ম-কানুনের পরিপন্থী।