বাংলাহান্ট ডেস্ক : সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে ক্রমশ অত্যাধুনিক হচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্র। শত্রু পক্ষকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ কোনও পক্ষই। যুদ্ধের ময়দানে নিজেদের দাপট দেখাতে একের পর এক অত্যাধুনিক মারণাস্ত্রের সম্ভার বাড়াচ্ছে ভারতীয় সেনাও। সম্প্রতি ৬১ হাজার কোটি টাকা খরচ করে অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক এবং সামরিক সরঞ্জাম কেনার কথা জানিয়েছে ভারত সরকার। এই আবহেই ভারতের সামরিক বাহিনীর অস্ত্র ভান্ডার চিন্তা বাড়াচ্ছে পাকিস্তানের (India-Pakistan)।
ভারতের অস্ত্র ভান্ডার বৃদ্ধি পেতেই পাকিস্তানের (India-Pakistan) দশা
এক পাক বিশেষজ্ঞর কথায়, ভারত এই ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত নিলেই সমস্যা বৃদ্ধি পায় পাকিস্তানের (India-Pakistan)। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করে তারা। পাক বিশেষজ্ঞ কামার চিমার কথায়, ভারত সামরিক অস্ত্র কিনলেই পাকিস্তানিরা ভাবতে শুরু করে তাদের কী করা উচিত এবার। পাক সরকার মনে করে, ভারতের সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্ক থাকলে, ‘আমাদেরও ট্যাঙ্কের প্রয়োজন’।
আরও পড়ুন : বড় খবর! এবার আমেরিকা থেকে এল Good News, লাফিয়ে শক্তি বাড়ল ভারতের, জানলে হবেন খুশি
পাক বিশেষজ্ঞের কথায়, পাকিস্তানের ধারণা, সমুদ্রপথে জাহাজ থেকে জাহাজে ভারতের সাথে যুদ্ধে এঁটে ওঠা সম্ভব না। তাই পাক সরকারের লক্ষ্য আকাশ পথে দাপট আরও বাড়িয়ে তোলা। ভারতের (India) মতো পাকিস্তানের (Pakistan) কাছেও যে শক্তিশালী বিমান বাহিনী রয়েছে সেই কথাও এদিন মনে করিয়ে দেন কামার চিমা। চিমা বলছেন, ভারত নিজেদের সামরিক ভান্ডার আধুনিকীকরণের পথে হাঁটলেও চিন্তা নেই পাকিস্তানের।
আরও পড়ুন : ‘আপনারা ভাল থাকবেন..,’ হঠাৎ কেন একথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
পাক সেনার অস্ত্র ভান্ডারেও রয়েছে উচ্চ প্রযুক্তির অস্ত্র। J-35 এবং পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান নিয়ে পাকিস্তান চিনের সাথে কাজ করছে। J-16 এবং JF-17 রয়েছে পাক সেনার অস্ত্র ভান্ডারে। তিনি আরও বলেন, ‘J-10 অর্জন করেছি আমরা। পাক বিমান বাহিনী যে অত্যন্ত শক্তিশালী তা রীতিমতো স্পষ্ট।’ কামার চিমা বলেন, একবার প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল বাজওয়ার মাধ্যমে খবর এসেছিল, পাকিস্তানের ট্যাঙ্কগুলি এতটাই পুরনো হয়ে গিয়েছে যে তা দিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে লড়া সম্ভব নয়।
তবে পাক সেনাবাহিনী (Pakistan Army) গত কয়েক বছরে একাধিক অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক কিনেছে যা ভবিষ্যতে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কামার চিমার কথায়, ‘আমি মনে করি আমরা বিপদে আছি, কিন্তু ভারতের সাথে আমাদের জাহাজ-থেকে-জাহাজ প্রতিযোগিতা থাকতে পারে না।’ তাই নৌপথে জাহাজ থেকে জাহাজে যদি ভারতের সাথে লড়াই হয়, তাহলে বিপদে পড়বে পাকিস্তানই।