ভারত সাগরে চিনের জারিজুরি এবার হবে শেষ! খেল দেখাবে ইন্ডিয়া, তৈরি হচ্ছে পরমাণু সাবমেরিন ঘাঁটি

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় চিনা আগ্রাসন চিন্তা বাড়াচ্ছে ভারতের (India)। সাম্প্রতিক অতীতে ভারত মহাসাগরে রেকর্ড পরিমাণ চিনা নৌসেনার বিস্তার যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে ভারতের কাছে। ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় চিনা আগ্রাসন রুখতে চলতি বছরের শুরু থেকেই জলভাগ নিরাপত্তায় বাড়তি জোর দিয়েছে ভারতীয় নৌসেনা।

বড়সড় প্ল্যান ভারতের (India)

এবার চিনা নৌসেনাকে শায়েস্তা করতে নয়া পরমাণু সাবমেরিন ঘাঁটি তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হল অন্ধ্রপ্রদেশে। পারমাণু অস্ত্র বহনকারী ডুবোজাহাজগুলির জন্য অন্ধ্রপ্রদেশে নৌঘাঁটি তৈরি হলে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। পাশাপাশি চুপিসারে শত্রুপক্ষকে শায়েস্তা করতেও বেগ পেতে হবে না নৌবাহিনীকে।

আরও পড়ুন : ‘আন্দোলন না করলে ডুবে মরতে হবে’! মমতাকে একহাত নিয়ে চাকরিহারাদের বড় পরামর্শ প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিতের

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভারতের (India) নৌসেনার নয়া সাবমেরিন ঘাঁটি গড়ে উঠতে চলেছে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলীয় গ্রাম রাম্বিলিতে। পরমাণু শক্তিধর ডুবোজাহাজগুলির জন্য বিশেষ টানেল রাখা হবে এই ঘাঁটিতে। সূত্রের খবর, একেবারে চুপিসারে অন্ধ্রপ্রদেশের এই সাবমেরিন ঘাঁটি থেকে ডুবোজাহাজগুলি প্রবেশ করতে পারবে বঙ্গোপসাগরে। এমনকি এই সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজগুলিকে কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইটেও শনাক্ত করা সম্ভব হবে না।

আরও পড়ুন : সিভিক শিক্ষক? ‘ভলান্টিয়ার’ হওয়ার আর্জি মমতার! স্কুলে যাওয়া নিয়ে ঘেঁটে ঘ চাকরিহারারা

ভারতীয় নৌসেনার এই প্রকল্পের নামকরণ করা হয়েছে ‘বর্ষা প্রকল্প’। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ। আগামী বছর থেকে ‘বর্ষা প্রকল্প’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পূর্ণ মাত্রায় কাজ শুরু হবে। পরমাণু শক্তিধর সাবমেরিন ঘাঁটি নির্মাণের ক্ষেত্রে একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে নৌসেনাকে। প্রযুক্তিগত, পরিবেশগত একাধিক সমস্যা থাকে এই ধরনের প্রজেক্ট তৈরির ক্ষেত্রে। তাই  ‘বর্ষা প্রকল্প’ বাস্তবায়িত হতে যে বেশ কিছুটা সময় লাগবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

India plan for nuclear submarine base

অন্যদিকে, চলতি বছর জলভাগ সুরক্ষা মজবুত করতে ভারতীয় নৌসেনা গত জানুয়ারি মাসে সাগরে নামায় দু’টি যুদ্ধ জাহাজ এবং একটি সাবমেরিন। গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার হিসাবে নির্মিত আইএনএস সুরত ও আইএনএস নীলগিরি সাগর সুরক্ষার কাজে নিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। পাশাপাশি সমুদ্রের তলদেশ থেকে সুরক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে ডুবোজাহাজ বা সাবমেরিন ভাগশীরকে ব্যবহার করছে ভারতীয় নৌসেনা।

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

X