বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পরপর দুদিনে ভারতের উপর পাকিস্তানের(Pakistan) ড্রোন হামলার ঘটনা এখন রীতিমতো খবরের শিরোনাম দখল করেছে। বিশেষত, জম্মুতে বায়ু সেনা ঘাঁটিতে যেভাবে ড্রোন বিস্ফোরণ করানো হয়, তাতে বোঝাই যাচ্ছে আগামী দিনে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এ ধরনের আক্রমণ আরও বাড়বে। এতদিন পর্যন্ত ড্রোনের মাধ্যমে অস্ত্রশস্ত্র এবং নেশার দ্রব্য পাচার করত পাকিস্তান। কিন্তু এখন এই ধরনের ড্রোন ব্যবহার করেই একের পর এক নাশকতামূলক আক্রমণের ছক কষছে তারা।
যদিও ভারতে আন্টি ড্রোন সিস্টেম(Anti Drone System) নিয়ে কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। ডিআরডিওর(DRDO) পরিচালনায় ইতিমধ্যেই একটি অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম তৈরি হয়েছে যা লেজার বেসড ডিরেক্টেড এনার্জি ওয়েপন নামে পরিচিত। ইতিমধ্যেই সফলতার সঙ্গে এটি ব্যবহারও করেছে ভারত। এছাড়াও গত বছরই ভারতীয় নৌ সেনা ইজরায়েলের কাছ থেকে ‘স্ম্যাশ ২০০০ প্লাস’ অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম অর্ডার দিয়েছে। এই অস্ত্রটি কম্পিউটারাইজড ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম এবং ইলেক্ট্রো অপটিক সিস্টেমের মেলবন্ধনে তৈরি। যার জেরে এটিকে রাইফেলেও ব্যবহার করা যায়। শত্রু ড্রোনগুলিকে চিহ্নিত করে তাকে বাতাসেই নষ্ট করে দিতে পারে এই অস্ত্র।
এছাড়া ভারতীয় সেনাবাহিনীর আওতায় ড্রোন জ্যামিং সিস্টেম তৈরি করারও কাজ চলছে। এই সিস্টেমের মাধ্যমে তিন কিলোমিটার দূরে বাংকারে বসেই রিমোটের মাধ্যমে ড্রোনগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। শুধু তাই নয়, এই সিস্টেম চালু হবার পর তা কোডকাপ্টারের সিগন্যালটিকে জ্যাম করে দেয়। যার ফলে তা আপনা আপনি মাটিতে নেমে আসে ড্রোনগুলি।
অনেক বেসরকারি কোম্পানিও আত্মনির্ভর ভারতের আওতায় অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম গড়ে তোলার কাজ চালাচ্ছে। যদিও ডিফেন্সিভ অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেমের ক্ষেত্রে অনেকটা সাফল্য লাভ করলেও অফেন্সিভ অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেমকে এখন আরও বেশী কার্যকর করতে হবে ভারতকে।
জম্মুর পরপর দু দিনের এই ঘটনার জেরে অনেকেই মনে করছেন আগামী দিনে এই ধরনের আকাশ হামলার উপরে আরও বেশি জোর দেবে পাকিস্তান। কারণ ড্রোন এখন অনেকটাই সহজলভ্য।