বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চতুর্থ টেস্টে ভয়ঙ্কর লড়াই চলছে দুই দলের মধ্যে। গতকাল রোহিতের সেঞ্চুরি এবং পূজারার হাফ সেঞ্চুরির সুবাদে ১৭১ রানে এগিয়ে থাকার পর আজ বিরাট কোহলিদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল লিড আরও বেশ খানিকটা বড় করে তোলা। কারণ ওভালে যত সময় যাচ্ছে পিচ যে ততো ভালো হচ্ছে এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। আর তাই বড় রান না করলে ইংল্যান্ডকে চাপে ফেলা ছিল খুবই মুশকিল। তবে আজ শুরুটা মোটেই মনের মত হয়নি ভারতের। কার্যত পরস্পর জাদেজা এবং রাহানেকে হারিয়ে বেশ কিছুটা চাপেই পড়ে যায় টিম ইন্ডিয়া।
অন্যদিকে অবশ্য গতকালের ফর্ম বজায় রেখে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন বিরাট। কিন্তু অর্ধশত রান করার আগেই ৪৪ রানের মাথায় মঈন আলীর বলে ওভারটনের হাতে ধরা পড়ে যান তিনি। ফলে ফের একবার ভারতকে তাড়া করতে শুরু করেছিল ব্যাটিং ধসের দুঃস্বপ্ন। স্কোরবোর্ডেও রান তখন ৩১২, হাতে রয়েছে মাত্র চারটি উইকেট। তবে ঠিক সেই মুহূর্তে ভারতের জন্য ফের একবার ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন শার্দুল ঠাকুর।
প্রথমবার ঋষভ পান্থকেও দেখে মনে হচ্ছিল যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী তিনি। ৭২ বলে সাতটি বাউন্ডারি এবং একটি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো ৬০ রানের ইনিংস খেলে শার্দুল যখন মাঠ ছাড়েন তখন ভারতের বিপদ অনেকটাই কেটে গিয়েছে। সিরিজে নিজের প্রথম অর্ধশত রান পূর্ণ করেন পান্থও। আজ ১০৬ বলে চারটি বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো ধৈর্যশীল ৫০ রানের ইনিংস উপহার দেন তিনি। যদিও ইনিংস বেশি বড় করার আগেই তাকে প্যাভিলিয়নে ফেরান মঈন, কিন্তু ততক্ষণে ভারতের লিড ৩০০ ছাড়িয়েছে। লোয়ার অর্ডারে গুরুত্বপূর্ণ যোগদান রাখেন জাসপ্রিত বুমরা এবং উমেশ যাদবও। যার জেরে শেষ পর্যন্ত ৪৬৬ রানে ইনিংস শেষ করে মেন ইন ব্লু।
অর্থাৎ জয়ের জন্য ৩৬৮ রানের বড় পাহাড় চড়তে হত ইংল্যান্ডকে। অবশ্য মাঠে নেমে আজ শুরুটা ভালোই করেন ইংরেজ ওপেনিং জুটি বার্ন্স এবং হামিদ। ইতিমধ্যেই ৫০ রানের পার্টনারশিপও করে ফেলেছেন তারা। কার্যত তাদের এই ব্যাটিংই বুঝিয়ে দিচ্ছিলো ওভালের পিচ এই মুহূর্তে ব্যাটিংয়ের জন্য যথেষ্ট ভালো। আপাতত দিনশেষে বিনা উইকেটে ৭৭ রান সংগ্রহ করেছে ইংল্যান্ড। অর্থাৎ ভারতের তুলনায় এখনও তারা পিছিয়ে ২৯১ রানে। এক প্রান্তে বার্ন্স অপরাজিত ৩১ রানে, অন্যপ্রান্তে ৪৩ রান করে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন হামিদ।