বাংলাহান্ট ডেস্ক : বহু সাধারণ মানুষ বিনিয়োগের মাধ্যমে হিসেবে বেছে নেন পোস্ট অফিসকে। আমাদের দেশের বহু প্রত্যন্ত এলাকায় এখনো ব্যাংকিং পরিষেবা উপলব্ধ নেই। তবে ভারতের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলেই রয়েছে পোস্ট অফিস। তাই বহু সাধারণ প্রান্তিক মানুষের বিনিয়োগের মাধ্যম ও ভরসার প্রতীক হয়ে উঠেছে ইন্ডিয়া পোস্ট (India Post)।
ঘরে বসেই হবে ইন্ডিয়া পোস্টের (India Post) কাজ
তবে বর্তমান ইন্টারনেটের (Internet) যুগে অনেকেই চান বাড়ি বসে পরিষেবার সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করতে। দেশের প্রত্যেকটি সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের নিজস্ব অ্যাপ বা ইন্টারনেট ব্যাংকিং পরিষেবা রয়েছে। সেই অ্যাপ বা ইন্টারনেট ব্যাংকিং পরিষেবার মাধ্যমে সেরে ফেলা যায় ব্যাংকের অনেক কাজ।
পোস্ট অফিসেরও (Post Office) এমন অনলাইন পরিষেবা রয়েছে যেখানে গিয়ে বহু কাজই করতে পারেন বাড়ি বসেই। ইন্ডিয়া পোস্টের (India Post) ই-ব্যাংকিং সাইটে গিয়ে আপনারা বিনিয়োগ করতে পারেন বিভিন্ন স্কিমে। এমনকি বাড়ি বসেই খুলে ফেলতে পারেন টার্ম ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট। পোস্ট অফিসের ই-ব্যাংকিং সাইটে লগইন করে সেরে ফেলতে পারেন আপনার বিনিয়োগের কাজ।
আরোও পড়ুন : জানুয়ারিতে বাড়ছে বাংলার সরকারি কর্মীদের DA? কত শতাংশ? সামনে বড় আপডেট
পোস্ট অফিসের সাইটে গিয়ে পুরনো অ্যাকাউন্ট নম্বর, প্যান কার্ড, কেওয়াইসি ডকুমেন্টস, এবং মোবাইল নম্বর ইনপুট করলে একটি নতুন পেজ খুলে যাবে, যেখান থেকে আপনারা টার্ম ডিপোজিটে বিনিয়োগ করতে পারেন। আজকাল অনেকেই নিজেদের বিনিয়োগের মাধ্যমে হিসেবে বেছে নিচ্ছেন পোস্ট অফিসের টার্ম ডিপোজিটকে।
১ বছরের টার্ম ডিপোজিটে বিনিয়োগকারীরা পেয়ে যাবেন ৬.৯% হারে সুদ। ২ বছরের জন্য ৭%, ৩ বছরের জন্য ৭.১%, ৫ বছরের জন্য ৭.৫% হারে সুদ প্রদান করবে পোস্ট অফিস। এছাড়াও পোস্ট অফিসের রয়েছে MIS প্রকল্পে বিনিয়োগ করার সুবিধা। MIS প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে সুদ পাওয়া যায় প্রতি মাসে। বিশেষ করে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক পোস্ট অফিসের এই MIS স্কিম।