বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অলিম্পিকে বহু মানুষের স্বপ্ন পূরণ করে অবশেষে প্রথম অ্যাথলেটিক্সে স্বর্ণ পদক জিতেছেন নীরজ চোপড়া। তার এই অভূতপূর্ব কৃতিত্বের জন্য মধ্যেই তাকে সম্মানিত করেছে গোটা দেশ। সরকারের তরফ থেকে নানা সম্মাননা তো রয়েছেই, এমনকি কর্পোরেট তরফেও সম্মাননা জানানো হয়েছে নীরজকে। মহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান আনন্দ মহিন্দ্রা ইতিমধ্যেই নীরজের সম্মানে তাকে একটি এসইউভি গাড়ি উপহার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
শুধু তাই নয় নীরজকে সম্মান জানিয়েছে অলিম্পিক কমিটিও। অলিম্পিকের সেরা দশটি মুহূর্তের মধ্যেই ইতিমধ্যেই অন্তর্ভুক্ত হয়েছে নীরজ চোপড়ার সোনা জয়ের মুহূর্তটি। বিশ্বব্যাপী অ্যাথলেটিক্সের র্যাঙ্কিংয়েও এই মুহূর্তে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন তিনি। যা নিয়ে ফের একবার দেশজুড়ে সম্মানিত হচ্ছেন এই ক্রীড়াবিদ। এবার তাকে সম্মান জানাতে প্রথা ভাঙলো ডাকবিভাগও।
হরিয়ানার পানিপত থেকে উঠে আসা এই খেলোয়াড়কে সম্মান জানাতে প্রধান ডাকঘরের সামনে রাখা লেটার বক্সটি সোনালী রঙে রাঙিয়ে দেওয়া হলো। ডাক বিভাগে লেটার বক্সের রং সাধারণত হয় লাল, এই প্রথমবার নীরজের সম্মানে প্রথা ভাঙলো ইন্ডিয়া পোস্ট। পানিপতের এইসব পোস্ট অফিসের কর্মকর্তারা বলেন, নীরজের নামে এখন সারাদেশ থেকে প্রচুর শুভেচ্ছাবার্তা আসছে। আমরা চেষ্টা করছি সবকটি চিঠি যাতে তার কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। সাথে সাথেই টোকিও অলিম্পিকে নীরজের এই অপূর্ব কৃতিত্বকে শ্রদ্ধা জানাতে গ্রামের পোস্ট অফিসেও একটি সোনালী লেটারবক্স রাখা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
স্বাভাবিকভাবেই গোটা দেশজুড়ে মানুষ এখন শুভেচ্ছাবার্তা পাঠাচ্ছেন নীরজের উদ্দেশ্যে। কারণ অ্যাথলেটিক্সের ইতিহাসে, তিনিই প্রথম খেলোয়াড় যিনি ভারতের হয়ে স্বর্ণ পদক জিতে নিয়েছেন। এর আগে অ্যাটলেটিকস বিভাগে ভারত শেষবার পদক লাভ করেছিল ১২১ বছর আগে। সেবার পদক এনে দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী ব্রিটিশ-ভারতীয় নরম্যান প্রিচার্ড। তারপর অন্যান্য বিভাগের পদক এসেছে ঠিকই কিন্তু অ্যাথলেটিকসে পদক আসেনি। অবশেষে সেই খরা কাটালেন নীরজ।