বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের একবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত চীন সীমান্ত (Indo China Border) অর্থাৎ লাদাখ সীমান্ত (Ladakh Border)। লাল সেনার আগ্রাসন দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর তাই এবার চীন সীমান্তে সেনা মোতায়েন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিল ভারত। সূত্রের খবর, সীমান্ত বরাবর প্রায় ১০ হাজার সেনা মোতায়েন বাড়ানো হয়েছে। তবে কি যুদ্ধ আসন্ন? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।
সূত্রের খবর, বিগত কয়েকদিনে লাদাখ সীমান্তের উত্তেজনা বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যেই ঐ এলাকায় ৯০ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। তবে পরিস্থিতি প্রতিকুল দেখে আরও ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় সেনা। হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের ৫৩২ কিলোমিটার চিন সীমান্ত এলাকা পাহারা দেবে এই অতিরিক্ত ১০ হাজার সেনা বাহিনী।
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে জল্পনা। ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রক এই বিষয়ে চুপ থাকলেও মুখ খুলেছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং। তার কথায়, ‘সীমান্ত এলাকার শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় চীন ভারতের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একসাথে আমরা বিশ্বাস করি যে ভারতের পদক্ষেপ শান্তি রক্ষা করা। মাও আরও বলেন, ‘সীমান্ত এলাকায় ভারতের সেনা মোতায়েন বাড়ানো সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি শান্ত করতে বা এই এলাকায় শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় সাহায্য করবে না।’
আরও পড়ুন : ‘দেশের টাকা দেশেই খরচ করুন’, নজরে ‘ওয়েড ইন ইন্ডিয়া’! কাশ্মীরের স্বার্থে বিরাট পরিকল্পনা মোদীর
যদিও এই বিষয়ে ভারতীয় সেনার তরফ থেকে কোনও অফিশিয়াল বিবৃতি এখনও আসেনি। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে লাদাখের গালোয়ানে ড্রাগন সেনার সাথে একপ্রস্থ যুদ্ধ হয় ভারতীয় সেনার সেই সংঘর্ষে দুই পক্ষেরই বেশকিছু সেনা নিহত হন। তারপর থেকেই ভারত-চীন সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। এবং নিজ নিজ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুই দেশই সেনা মোতায়েন বৃদ্ধি করে এবং সামরিক বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সিনো-ইন্দো সীমান্তের উত্তেজনা কমাতে ইতিমধ্যেই ২১টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে দুই দেশের সেনা প্রধানদের মধ্যে। কিছু সমস্যার সমাধান হলেও এখনও বেশকিছু রফাসূত্র খুঁজে চলেছে দুই দেশ। ইতিপূর্বেই একাধিকবার আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে চেয়েছে নয়াদিল্লি। তবে বেজিং-র পক্ষ থেকে তেমন কোনও পদক্ষেপ আসেনি। যে কারণে দেশের সুরক্ষা বাড়াতে ভারত এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।