করোনা সংক্রমণের দিক থেকে এশিয়ার মধ্যে প্রথম এবং বিশ্বে নবম স্থানে পৌছাল ভারত

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চীন, ইরানকে টপকে করোনা শীর্ষের তাকিলায় এবার তুরস্ককে হারিয়ে নবম স্থানে পৌছাল ভারত (Inida)। করোনা ভাইরাস এবার ধীরে ধীরে ভারতের দিকে ধেয়ে আসছে। ক্রমাগত এই মারণ ভাইরাসের জালে জড়িয়ে পড়ছে ভারত। সবরকম প্রস্তুতি, লকডাউনের বিধি নিষেধ সত্ত্বেও করোনা সংক্রমণের দিক থেকে এশিয়ার মধ্যে প্রথম স্থানে চলে এল ভারত।

করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি
২০১৯ সালের নভেম্বরের শেষের দিকে চীনের উহানের সি ফুড মার্কেটের পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে প্রথম করোনা ভাইরাসের হদিশ মেলে। এর পরই শুরু হয় এক অজানা আতঙ্কের উৎপত্তি। ধীরে ধীরে এই ভাইরাস চীন ছাড়িয়ে সমগ্র বিশ্বের দিকে এগোতে শুরু করে। স্পর্শের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার কারণে, মানুষজনকে সামাজিক দূরত্ব এবং মাস্ক ব্যবহার করতেও বলা হয়। শেষে বেগতিক দেখে জারী করা হয় লকডাউনও। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই মারণ ভাইরাসকে ঠেকানো সম্ভব হয়নি। WHO -এই ভাইরাসকে মহামারির আখ্যাও দিয়ে দেয়।

Corona patients UNI 2 scaled 1

করোনার প্রভাব
এই করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি নিয়েও শুরু হয় জলঘোলা। চীনের ল্যাবে এই ভাইরাসের জন্ম হয়েছে বলে, বহুবার অভিযোগ উঠলেও, চীন সরকার এই ভাইরাসের উৎপত্তি সম্বন্ধে একদমই নির্বাক দর্শক। প্রথম ভাগে চীন এই ভাইরাসের সম্পর্কে গোপন রাখার কারণেই, এতোটা মারাত্মক আকার নিয়েছে বলেও দোষারোপ করা হয়। এই ভাইরাসের কারণে চীনের সঙ্গে বিশ্বের প্রায় সমগ্র দেশের আজ শত্রুতার সম্পর্কে পরিণত হয়েছে। উৎপত্তি স্থল হলেও, চীনে কিন্তু এই ভাইরাসের প্রভাব খুব একটা পড়েনি। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আমেরিকা। তবে আক্রান্তের দিক থেকে চীনকে বহু আগেই ছাড়িয়ে গিয়েছে ভারত।

ভারতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা
মারণ ব্যাধি করোনা ভাইরাসের সঠিক প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। প্রায় সমগ্র বিশ্বের গবেষক এবং বিজ্ঞানীরা একত্রিত হয়েএই ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। চলছে জোর কদমে প্রস্তুতিও। কিন্তু ভারতে চতুর্থ দফা লকডাউনের মধ্যেও ক্রমাগত বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বর্তমানে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৬৩১২০। এই সংখ্যার নিরিখে ভারত তুরস্ককেও পিছনে ফেলে আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে বিশ্বের মধ্যে নবম স্থানে উঠে এসেছে।

in corona patient

এশিয়ার মধ্যে প্রথম স্থানে পৌছাল ভারত
বিশ্বের মধ্যে নবম স্থান এবং এশিয়ার মধ্যে প্রথম স্থানে বর্তমানে রয়েছে ভারত। কিছুদিন আগেই চীন এবং পেরুকে পিছনে ফেলে ১১ তম স্থানে পৌঁছানোর পর, ইরানকে হারিয়ে ১০ ম স্থানে আসে ভারত। এরপর তুরস্ককেও হারিয়ে নবম স্থানে আসল ভারত। তবে বর্তমানে যে হারে ভারতে সংক্রমণের সংখ্যা দিনে দিনে রেকর্ড সংখ্যায় বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে করে বিজ্ঞানিরা মনে করছেন, আর ২-৩ দিনের মধ্যেই জার্মানি এবং ফ্রান্সকে হারিয়ে সপ্তম স্থানে চলে আসবে ভারত।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর