প্রধানমন্ত্রীর জন্যই মিলেছে সাফল্য, UPI লেনদেনে বিশ্বে প্রথম ভারত, জানালেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রেই একাধিক পরিবর্তন সম্পন্ন হচ্ছে। এমনকি, আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রেও এসেছে আমূল পরিবর্তন। দেশের প্রতিটি প্রান্তেই এখন নগদহীন লেনদেনের (Cashless Transaction) বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়। পাশাপাশি, এই প্রক্রিয়ায় ক্রমশ অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে মানুষ। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সামগ্রিকভাবে এই পরিষেবা আর্থিক লেনদেনকে আরও সহজ করে তুলেছে।

এমতাবস্থায়, এই প্রসঙ্গে এক বড়সড় তথ্য সামনে এসেছে। ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়ায় এক আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দাবি করেছেন যে, নগদহীন লেনদেনের ক্ষেত্রে সমগ্ৰ বিশ্বের মধ্যে শীর্ষ স্থান দখলের দিকে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে ভারত।

কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী রাইসিনা-সিডনি বিজনেস ব্রেকফাস্টে জানিয়েছেন, ‘‘আপনি যদি আমাদের নগদবিহীন লেনদেনগুলির নির্দিষ্ট UPI (Unified Payments Interface) আইডি দেখেন, সেক্ষেত্রে আমি মনে করি আমরা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নগদহীন লেনদেনের ক্ষেত্রে রেকর্ড করতে চলেছি।”

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর নোটবন্দির ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই সিদ্ধান্তের জেরে ভারতীয় অর্থব্যবস্থায় রীতিমতো বড় পরিবর্তন আসে। মূলত, তারপর থেকেই বাড়তে থাকে ডিজিটাল লেনদেনের প্রক্রিয়া। শুধু তাই নয়, QR কোড স্ক্যানের মাধ্যমে অথবা UPI আইডির মাধ্যমে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট মারফত টাকার লেনদেনও পুরোদমে শুরু হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে, PhonePe, Google Pay ও Paytm-এর মত UPI অ্যাপের ব্যবহারও বাড়তে শুরু করে।

whatsapp image 2023 02 18 at 6.27.21 pm

এমতাবস্থায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের আমলে লেনদেনের ক্ষেত্রে এহেন পরিবর্তনের প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ‘‘বর্তমানে মানুষের মানসিকতার মধ্যে প্রযুক্তির প্রভাব বেড়েছে। তাই নগদহীন লেনদেনও ক্রমাগত বেড়ে চলেছে।’’ এছাড়াও তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা জনগণকে নগদহীন লেনদেনের ক্ষেত্রে ধারাবাহিক ভাবে উৎসাহিত করে আসছি।” পাশাপাশি, ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থায় কেন্দ্রের তরফে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান বিদেশমন্ত্রী।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর