বাংলাহান্ট ডেস্ক: নয়া রেকর্ড গড়ল ভারত (India)। বিশ্ব বাজারে ক্রমশ বেড়ে চলেছে জ্বালানির দাম। এরই মধ্যে জ্বালানির খরচে রাশ টানতে সক্ষম হয়েছে ভারত। সম্প্রতি একটি তথ্য সামনে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে জ্বালানির খরচে ব্যাপক রাশ টানতে সক্ষম হয়েছে ভারত। ধীরে ধীরে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের দিকে এগোচ্ছে দেশ।
একটি তথ্যে থেকে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে জ্বালানির খরচে ৪.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সঞ্চয় করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও ১৯.৪ মিলিয়ন টন কয়লার ব্যবহারও রোধ করা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত। সৌরশক্তি উৎপাদনের দিকে জোর দেওয়ার জন্য এই ফল পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে শক্তি উৎপাদন ও দূষণমুক্ত বাতাস নিয়ে গবেষণা করা সংস্থা এম্বার। তাদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করেছে ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিক্স অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল অ্যানালিসিস।
গত দশকে সৌরশক্তি উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ার তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা গিয়েছে, সৌরশক্তি ব্যবহারকারী বিশ্বের প্রধান দশটি অর্থনীতির পাঁচটিই রয়েছে এশিয়ায়। এর মধ্যে রয়েছে চিন, জাপান, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভিয়েতনাম। এশিয়ার সাতটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ যেমন চিন, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স এবং থাইল্যান্ড জীবাশ্ম থেকে উৎপাদিত জ্বালানির খরচ প্রায় ৩৪ বিলিয়ন ডলার কমাতে সক্ষম হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যেই এই কাজ করেছে তারা।
ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, সৌরশক্তি উৎপাদনের ফলে বছরের প্রথমার্ধে জ্বালানির খরচে ৪.২ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও এর ফলে ১৯.৪ মিলিয়ন টন কম কয়লাও ব্যবহৃত হয়েছে। ভারতের অভ্যন্তরীণ কয়লার সরবরাহে এমনিতেই টান পড়েছে। তার মধ্যে এত বিপুল পরিমাণ কয়লা সাশ্রয় খুবই ভাল একটি দিক বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস অবধি মোট বিদ্যুতের চাহিদার ১১ শতাংশ এসেছে সৌরশক্তি থেকে।
জীবাশ্ম থেকে উৎপাদিত জ্বালানির ব্যবহার কমাতে চিন, জাপান ও ভারতের মতোই থাইল্যান্ড ও ফিলিপিন্সের ভূমিকাও উল্লেখজনক। এই দু’টি দেশে সৌরশক্তি ব্যবহারের বৃদ্ধির হার কিছুটা কম হলেও জ্বালানির খরচ যেভাবে কমানো হয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসার বিষয়। ওই রিপোর্ট অনুসারে, ফিলিপিন্স জ্বালানির খরচে ৭৮ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করেছে। যদিও সেখানে মাত্র ১ শতাংশ সৌরশক্তি উৎপাদন হয়। একই রকম দৃশ্য তাইল্যান্ডেও। সেখানে বিদ্যুতের মাত্র ২ শতাংশ আসে সৌরশক্তি থেকে। তবে তারা প্রায় ২০৯ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করেছে জ্বালানি খাতে।