বাংলাহান্ট ডেস্ক : অন্যান্য দেশ থেকে হাতিয়ার আমদানির পরিবর্তে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অস্ত্রশস্ত্র বিদেশে রফতানির উপর জোর দেওয়ার পর থেকেই সামরিক ক্ষেত্রে দ্রুত উল্লেখযোগ্য নাম হয়ে উঠছে ভারত (India)। বেশ কিছু দেশ নিয়মিত ভাবে অস্ত্র কেনে নয়াদিল্লির থেকে। এবার যুদ্ধে টক্কর দিতে শত্রুর কেনা একই অস্ত্র ঘুরপথে পেতে এক ‘বন্ধু’ রাষ্ট্রের মাধ্যমে ভারতের (India) কাছে হাত পাতল মধ্য এশিয়ার এক দেশ। কিন্তু প্রস্তাব পাওয়া মাত্রই তা ফিরিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি।
শত্রু দেশের কেনা একই অস্ত্র ভারতের (India) কাছে এই দেশ
বিগত কয়েক বছর ধরে বেশ কিছু দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হাতিয়ার আর্মেনিয়াকে সরবরাহ করেছে ভারত (India)। এবার সেই একই অস্ত্র হাতে পেতে বিশেষ ফন্দি আঁটে আর্মেনিয়ার চিরশত্রু আজারবাইজান। এক্ষেত্রে ভারতের থেকে অস্ত্র কিনতে নয়াদিল্লির এক ‘মিত্র’ রাষ্ট্রকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে খাড়া করে প্রস্তাব পাঠায় মধ্য এশিয়ার এই দেশ। কিন্তু সেই প্রস্তাব পত্রপাঠ খারিজ করেছে নয়াদিল্লি। রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘বন্ধু’ রাষ্ট্রটির এক শীর্ষ আধিকারিক ভারতের (India) প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পদস্থ আধিকারিকদের বলেন, হাতিয়ার সরবরাহের ক্ষেত্রে ভারত যদি দীর্ঘকালীন অংশীদার খোঁজে, সেক্ষেত্রে আজারবাইজানের কথা ভাবতে পারে।
বহু হাতিয়ার কিনেছে মধ্য এশিয়ার এই দেশ: সূত্র অনুযায়ী, ২০২২ সালে ভারতের (India) থেকে ‘আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্র কেনার জন্য ৬ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করে আর্মেনিয়া। এই চুক্তি অনুযায়ী, হাতিয়ারের ১৫ টি ইউনিট আর্মেনিয়াকে সরবরাহ করতে চলেছে ভারত (India)। চলতি বছরের নভেম্বরে এই হাতিয়ারের দ্বিতীয় ইউনিট ইয়েরেভানের হাতে তুলে দিয়েছে নয়াদিল্লি। এছাড়াও ‘পিনাকা মাল্টি ব্যারেল রকেট লঞ্চার’ও কিনেছে আর্মেনিয়া। পাশাপাশি রাডার এবং ড্রোন কেনার ক্ষেত্রেও আগ্রহ প্রকাশ করেছে ওই দেশ। এদিকে এই দুই অস্ত্রকে নিয়েই আজারবাইজান চিন্তায় পড়েছে বলে খবর।
আরো পড়ুন : বাংলায় প্রথম ‘মিডনাইট শো’, মুক্তির দিনেই ১০০-র বেশি হাউজফুল! পুষ্পাকে টেক্কা দিয়ে ইতিহাস গড়ল ‘খাদান’
কেন প্রস্তাব ফেরাল ভারত: তবে আজারবাইজানের থেকে আগ্রহের ইঙ্গিত এলেও অস্ত্র বিক্রি করতে সাফ না করে দিয়েছে ভারত (India)। কারণ হিসেবে নয়াদিল্লির তরফে জানানো হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেওয়া হলেও মধ্যস্থতাকারী কোনো দেশকে সামনে রেখে প্রতিরক্ষা চুক্তি করার প্রশ্ন আসে না। তবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের তরফে বলা হচ্ছে, কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে তুরস্ক এবং আজারবাইজানকে। কাশ্মীরের একাংশ অবৈধ ভাবে ভারত দখল করে রেখেছে বলেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিবৃতি দিয়েছে আজারবাইজান। পাকিস্তানের সঙ্গে এই দেশের ঘনিষ্ঠতার বহু প্রমাণ মিলেছে।
আরো পড়ুন : ভাতা-প্রকল্পে কমাতে হবে খরচ! রাজ্য সরকারকে সতর্ক করল RBI, কোপ পড়বে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকায়?
পাশাপাশি আজারবাইজানের বিরুদ্ধে আর্মেনিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে ফ্রান্স এবং গ্রিস, যে দুই দেশের সঙ্গে ভারতের (India) সম্পর্ক বেশ মজবুত। তাই ওই দুই বন্ধু রাষ্ট্রকে চটিয়ে আজারবাইজানকে অস্ত্র সরবরাহ করার মতো ভুল ভারত করবে না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।