Global Innovation Index 2022: GII সূচকে ৪০ তম স্থানে উঠে এল ভারত! ২০১৫ সালে ছিল ৮১ তম স্থানে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স ২০২২ (Global Innovation Index, 2022)-এ ভারত ৪০ তম স্থানে উঠে এসেছে। অথচ, ২০১৫ সালে ভারত এই তালিকায় ৮১ নম্বর স্থানে ছিল। উল্লেখ্য যে, এই ইনডেক্স দেশে স্টার্টআপের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে এবং উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে ক্রমাগত উন্নতির বিষয়টিকে খতিয়ে দেখে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, ২০২১ সালে ভারত গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স (GII) অনুযায়ী ৪৬ তম স্থানে ছিল।

সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল ২০১৫ সাল থেকে ভারত এই ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে এগোনোর চেষ্টা করছে। ২০১৫ সালে গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স অনুযায়ী, ভারতের স্থান ৮১ থাকলেও ২০২২ সালে তা ৪০-এ এসে পৌঁছেছে। মূলত, বর্তমান সময়ে স্টার্টআপগুলির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাগুলির গবেষণার উপর জোর দেওয়া থেকেই এই উন্নতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এমতাবস্থায় দাবি করা হয়েছে যে, এই রিপোর্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারকে তাদের উদ্ভাবন বাড়াতে সাহায্য করবে। এর মূল উদ্দেশ্য হল, সামাজিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং পরিবর্তনের মধ্যেও নতুন ধারণা এবং কৌশল অন্তর্ভুক্ত করা। এমতাবস্থায়, সরকারগুলি তাদের নীতিগুলিকে উন্নত করার একটি অন্যতম উপায় হিসাবে GII রিপোর্টকে বিবেচনা করে। যা বর্তমান পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে সহায়তা করে বলেও জানানো হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশন (WIPO) তার বিবৃতিতে বলেছে, “ভারত ICT (Information and Communication) পরিষেবা রপ্তানিতে বিশ্বের মধ্যে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছে এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল রিসিপ্ট ভ্যালু, স্টার্টআপের জন্য ফাইন্যান্স এবং স্কেল-আপ সহ অন্যান্য সূচকগুলিতে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে।”

পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এই প্রসঙ্গে টুইট করে জানিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত “এই প্রথম এত উদ্ভাবন করছে”। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, প্রধানমন্ত্রী মোদী চলতি বছরের স্বাধীনতা দিবসের দিন বলেছিলেন যে, আগামী ২৫ বছর দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি এই সময়ের মধ্যে ভারত একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে বলেও জানান তিনি।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর