ভারত ও রুশের বন্ধুত্ব হলো আরো মজবুত, চাপে চীনের জিনপিং সরকার

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ এবার তেলে বেগুনে জ্বলে উঠবে চীন সরকার জিনপিং (Xi Jinping)। ভারতের (India) সঙ্গে সীমা বিবাদের মধ্যেই রাশিয়াকে (Russia) নিয়ে সংশয়ে রয়েছে চীন। ক্রমাগতই ভারত এবং রাশিয়ার মধ্যেকার সম্পর্ক আরও মজবুত এবং গভীর হয়ে উঠছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যেকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে কাটা বিঁধছে জিনপিং সরকারের গায়ে।

রাশিয়ার প্যারেডে অংশ নেবে ভারতের সেনা
ভারত-রাশিয়ার বন্ধুত্বের ভিত্তিতে ভারতের তিন ক্ষেত্রের সেনাবাহিনীর একটি অংশ আগামী ২৪ শে জুন রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর রেড স্কোয়ারে যুদ্ধ্যাভাসে যুক্ত হবে। এই ঘটনায় সরাসরি মাত দেওয়া যাবে চীন সরকারকে। তবে এটা কোন নতুন ঘটনা নয়। এর আগে ২০১৫ সালে ভারতের স্থলসেনা রাশিয়ার এই প্যারেডে অংশ নিয়েছিল। তবে এবার ভারতের তিন বাহিনীর সেনারাই, অর্থাৎ স্থল, নৌ এবং বিমানবাহিনীর সেনা অংশ নেবে।

MODI PUTIN

কপালে ভাঁজ জিনপিং-এর
চীনের বন্ধু দেশ রাশিয়ায় ভারতীয় সেনাদের এই শক্তি প্রদর্শনে চীন সরকারের কপালে পড়ল চিন্তার ভাঁজ। রাশিয়ার এই প্যারেড ১৯৪৫ সালে নাজিজার্মানির আত্মসম্পর্ণের উদ্যেশ্যে প্রচলিত এই দিনটি অত্যন্ত ধুমধামের সঙ্গে পালন করা হয় রাশিয়ায়। তবে এবার এই ঘটনার ৭৫ বছর পূর্তিতে বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রধানদের আমন্ত্রিত করা হয়েছে।

যোগ দিতে পারবেন না মোদী জি
এই অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অলাদি অস্তাকে নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত না হতে পারলেও ভারতের তিনবাহিনীর সেনা এই অনুষ্ঠানে তাঁদের শক্তি প্রদর্শন করবে। তিনবাহিনী থেকে মিলিয়ে প্রায় ৭৫-৮০ জন জওয়ানকে ১৯ শে জুনই মস্কোতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে, যারা এই প্যারেডে অংশগ্রহণ করবে।

army 222

সুরক্ষা ব্যবস্থাকে দৃঢ় করছে ভারত
সূত্র মারফত জানা যায়, চীনের সঙ্গে রাশিয়ার গভীর রাজনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে রাশিয়া বর্তমানে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রাখতে চাইছে। সেই কারণে সুরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও বেশি উন্নত করার জন্য রাশিয়ার সাথে মিলিতভাবে দুই দেশের মধ্যে অস্ত্র শস্ত্রের লেনদেনের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে সীমা বিবাদের পর থেকে চীন সরকার একদমই চায় না যে ভারতের সঙ্গে অন্য কোন দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে গড়ে উঠুক। কিন্তু এখন রাশিয়ার সঙ্গে ভারত ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠ হওয়ায়, ক্রমেই চীন সরকারের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর