বাংলাহান্ট ডেস্ক : ২০২১ সালের পর ফের একবার ভারত সফরে আসতে চলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্টের ভারত সফর নিয়ে এখন স্বাভাবিকভাবে পাকিস্তান-বাংলাদেশ-চিনসহ গোটা বিশ্বেই তৈরি হয়েছে কৌতুহল। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ সম্প্রতি পুতিনের ভারত (India-Russia) সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভারত-রাশিয়ার (India-Russia) দুই প্রধানের বৈঠক
সূত্রের খবর, ভারত ও রাশিয়ার (India-Russia) মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বের পাশাপাশি বাণিজ্য, প্রতিরক্ষার মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে মুখোমুখি হবেন পুতিন ও মোদি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, রুশ প্রেসিডেন্টের ভারত সফরকালে দুই দেশের রাষ্ট্রনেতার এই বৈঠক আগামীদিনে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নয়া দিগন্তের উন্মোচন ঘটাতে চলেছে।
আরও পড়ুন : মধ্যবিত্তদের খুলবে কপাল! বড়সড় “সারপ্রাইজ”-এর পরিকল্পনা RBI-র, মিলল আপডেট
মোদি আমলে রাশিয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক স্তরে বরাবর নিরপেক্ষ নীতি গ্রহণ করে চলেছে ভারত। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশেষ একটা মুখ খুলতে দেখা যায়নি দিল্লিকে। আবার রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাশ হওয়া রাশিয়া (Russia) বিরোধী বিলগুলিতে ভোট দেওয়া থেকেও বিরত থেকেছে ভারত (India)। এমনকি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রকাশ্যে পুতিনকে নিয়ে সমালোচনাও কৌশলগতভাবে এড়িয়ে গিয়েছে দিল্লি।
আরও পড়ুন : বড়পর্দায় এবার যোগী আদিত্যনাথ! নতুন বায়োপিকের তোড়জোড় বলিউডে, মুখ্য ভূমিকায় কে?
২০২১ সালে ৪ ঘন্টার জন্য ভারত সফরে এসে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন স্বাক্ষর করেছিলেন ২৮ টি চুক্তিতে। বর্তমানে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ দিয়ে পৌঁছেছেন ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এই পরিস্থিতিতে পুতিনের ভারত সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কোন কোন বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হতে পারে মোদি (Narendra Modi) ও পুতিনের (Vladimir Putin)?
বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ভারত সফরকালে মোদির সাথে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা সারবেন পুতিন। ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি হতে পারে দুই দেশের মধ্যে। একইসাথে পারমাণবিক শক্তি এবং প্রাকৃতিক সম্পদের ক্ষেত্রগুলিতে সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নয়া চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে ভারত ও রাশিয়া। পাশাপাশি দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নয়া মাত্রায় পৌঁছে দিতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারই সাথে ব্রিকস, এসসিও এবং অন্যান্য বহুপাক্ষিক সংস্থাগুলির মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে মোদি-পুতিন বৈঠকে।