বাংলাহান্ট ডেস্ক : আদি অন্তহীন মহাকাশ এবং সুগভীর জলরাশির মধ্যে কখন কোথায় কী ঘটে চলেছে, তার খোঁজ এই ভূপৃষ্ঠে বসে সাধারণ মানুষ পায় না। কিন্তু বিজ্ঞানীদের (India) নজর এড়ায় না অনেক কিছুই। এই মহাবিশ্বের কোথায় কী ঘটে চলেছে সেদিকে সর্বক্ষণ কড়া নজর রয়েছে বিজ্ঞানীদের। এর সমস্ত পরিবর্তন হয়তো তাঁরা লক্ষ্য করে উঠতে পারেন না, সব পরিবর্তন ধরা পড়ে না বৈজ্ঞানিক যন্ত্রে। আর যখন কিছু ধরা পড়ে তখন তা হয় বিরাট বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার।
সমুদ্রের গভীরে বড় খোঁজ ভারতীয় (India) বিজ্ঞানীদের
সম্প্রতি এমনি এক আবিষ্কার করেছেন ভারতীয় (India) বিজ্ঞানীরা। সমুদ্রের গভীরে এমন এক ‘জিনিস’ এর সন্ধান তাঁরা পেয়েছেন যা তাঁদের মতে, আগে কখনো পাওয়া যায়নি। ভারত (India) মহাসাগরের দক্ষিণে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশান টেকনোলজি এবং ন্যাশনাল সেন্টার ফর পোলার অ্যান্ড ওশান রিসার্চ এর গবেষণায় উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
কীসের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা: সমুদ্রের গভীরে গবেষণা চালানোর সময় একটি স্তর নজরে আসে বিজ্ঞানীদের। পরপর অনেকগুলি স্তর, যা একটি পাতলা আচ্ছাদন দিয়ে মোড়া। কী এই স্তর? পরীক্ষা নিরীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, এটি আসলে হাইড্রোথার্মাল সালফায়েড ক্ষেত্র। পৃথিবীর কোনো স্থানে দুটি টেকটনিক প্লেট পরস্পরের থেকে দূরে সরে গেলে কিংবা পরস্পরের দিকে এগিয়ে এলে এই ধরণের স্তর তৈরি হয়।
আরো পড়ুন : রণবীর-দীপিকার কোলে ছোট্ট দুয়া, মেয়ের মুখ দেখালেন জুটি? ভাইরাল ছবির সত্যতা কী?
কী লাভ হবে আবিষ্কার থেকে: ভারতীয় (India) বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই হাইড্রোথার্মাল সালফায়েড ক্ষেত্র আসলে কয়েক হাজার রকমের খনিজের ভাণ্ডার। তাঁদের মতে, এমন জিনিসের খোঁজ তাঁরা পেয়েছেন যা আগে কখনো দেখা যায়নি। তবে আবিষ্কার হলেই তো হল না। বিজ্ঞানীরা এও জানিয়েছেন, এই হাইড্রোথার্মাল সালফায়েড স্তরে খনন করে খনিজের খোঁজ করার মতো পরিকাঠামো ভারতের (India) কাছে নেই।
আরো পড়ুন : কাজ করলনা “ফন্দি”, শত্রু নিকেশ করতে ভারতের দ্বারস্থ পাকিস্তানের এই “বন্ধু”, পত্রপাঠ বিদায় দিল্লির
জানা যাচ্ছে, এই অতি উন্নত পরিকাঠামো রয়েছে শুধুমাত্র ব্রিটেন, রাশিয়া, ফ্রান্স এবং পোল্যান্ডের কাছে। তাই এই খনন কাজ চালাতে হলে অন্য দেশের সঙ্গে হাত মেলাতে হবে ভারতকে। উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের শুরুতেই সমুদ্রের ৬ কিমি নীচে মিশন সমুদ্রযান রয়েছে ভারতের। আবার ২০২৮ এও জলপথে পৃথিবীর শেষ পয়েন্ট নিমোতে রয়েছে ভারতের মিশন।
High Resolution Deep Sea Exploration and Imaging at 4500 m depth of Hydrothermal sulphides field at the Central and South West Indian Ridges in Southern Indian Ocean was done successfully, by the team of Scientists [NIOT & NCPOR] led by Dr.N.R.Ramesh, Scientist-G, NIOT during… pic.twitter.com/K3k6YFJ6tn
— MoES NIOT (@MoesNiot) December 16, 2024