বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একদিকে চীন (Chaina) এবং অপরদিকে পাকিস্তান (Pakistan) সবসময়ই ভারত বিরোধী মনোভাব নিয়ে মুখীয়ে থাকে। পাকিস্তান লড়ছে কাশ্মীরকে (Kashmir) কেন্দ্র করে। আর অপরদিকে চীন লড়ছে অরুনাচলপ্রদেশকে (Arunachal Pradesh) নিয়ে। অরুনাচলপ্রদেশকে দক্ষিণ তিব্বতের অংশ বলে বারবার দাবী করেছে চীন। বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র (Amit Shah) অরুণাচল সফর নিয়ে আবারও সমালোচনার শিখরে ওঠে চীন।
চীনাদের আপত্তিকে পাত্তা না দিয়ে বৃহস্পতিবার অরুণাচল প্রদেশের রাজধানী ইটানগরে ৩৪তম রাজ্যনির্মাণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন অমিত শাহ। এর জেরেই আপত্তি জানায় চীন। আগেও একবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে রাজনাথ সিংয়ের (Rajnath Singh) অরুণাচল সফরের যাওয়ায় চীন একইভাবে আপত্তি জানিয়েছিল। ভারতের যেকোন জায়গায় যাওয়ার অধিকার আছে ভারতীয়দের। বেজিংয়ের (Beijing) এই আপত্তিকে অগ্রায্য করে এদিন অরুণাচল প্রদেশ যান অমিত শাহ।
দুই দেশের প্রতিনিধিস্তরে ২২ বার অরুণাচল প্রদেশের বিষয় প্রসঙ্গে চীনের সঙ্গে ভারতের আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এই সমস্যা এখনও মেটেনি। এদিন অমিত শাহের সফরের বিরোধিতা করে চিন অভিযোগ করে, এর ফলে আঞ্চলিক ভারসাম্য লঙ্ঘন হচ্ছে। দুই দেশের মধ্যেকার রাজনৈতিক বিশ্বাসের উপর প্রভাব পড়ছে। এবিষয়ে চীনকে কোনোরকম সাহায্য যে করা হবে না, তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকারের প্রথম থেকেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
অরুণাচল নিয়ে চীনের প্রসঙ্গে রাবিশ বলেন, “অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তাই ভারত থেকে এই অঞ্চলকে কোনওভাবেই আলাদা করা যাবে না। বিভিন্ন সময়ে ভারতের বিভিন্ন নেতারা যেমন দেশের অন্য জায়গায় যান, তেমনি অরুণাচল প্রদেশ সফরে যান। এবিষয়ে চীনের তা নিয়ে আপত্তি মানায় না।” এই বিষয়ে তিনি আরও বলেন, “ভারতের কোন একজন নেতা দেশের যেকোনো একটি রাজ্যে সফর করতেই পারে। তা নিয়ে চীনের আপত্তির কোন কারণ থাকতে পারে বলে ভারতের মানুষ বুঝে উঠতে পারছে না।”