মোদী সরকারের বড় সিদ্ধান্ত! এই রাজ্যে তৈরি হবে ভারতের ষষ্ঠ সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট, ঘোষণা বৈষ্ণবের

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বুধবার কেন্দ্রীয় সরকার একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা আরও একটি সেমিকন্ডাক্টর ইউনিটের অনুমোদন করেছে। এটি ভারতের (India) সেমিকন্ডাক্টর মিশনকে আরও গতি এনে দেবে। জানিয়ে রাখি যে, ইতিমধ্যেই দেশে ৫ টি সেমিকন্ডাক্টর ইউনিট স্থাপনের কাজ পুরোদমে চলছে। তবে,বুধবার যে ইউনিটটি অনুমোদিত হয়েছে তা HCL এবং ফক্সকনের একটি যৌথ উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

তৈরি হবে ভারতের (India) ষষ্ঠ সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট:

উল্লেখ্য যে, HCL-এর হার্ডওয়্যার উৎপাদন ও ডেভেলপমেন্টে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে অন্যদিকে ফক্সকন একটি বৃহৎ ইলেকট্রনিক্স উৎপাদনকারী কোম্পানি। এই দুই সংস্থা একসাথে উত্তরপ্রদেশের জেওয়ার বিমানবন্দরের কাছে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে শিল্প উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে একটি প্ল্যান্ট স্থাপন করবে। যার জন্য ব্যয় হবে ৩,৭০৬ কোটি টাকা।

এদিকে, এই ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন, পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদীদের আস্তানা ধ্বংস করার জন্য সাম্প্রতিক “অপারেশন সিঁদুর”-এ প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার করা হয়েছে। এই প্ল্যান্টটি মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে ল্যাপটপ, অটোমোবাইল, পিসি এবং অন্যান্য অনেক ডিভাইসের জন্য ডিসপ্লে ড্রাইভার চিপ তৈরি করবে বলেও জানান তিনি। এই চিপগুলি স্ক্রিন পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয়। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই প্ল্যান্টের প্রতি মাসে ২০,০০০ ওয়েফার উৎপাদনের ক্ষমতা থাকবে। ওয়েফার হল এক ধরণের পাতলা ডিস্ক। যার ওপর চিপ তৈরি করা হয়। এই প্ল্যান্ট থেকে প্রতি মাসে ৩৬ মিলিয়ন ইউনিট (৩.৬ কোটি) চিপ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: রোহিত-বিরাটের পর টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে চলেছেন শামি? কী জানালেন তারকা ফাস্ট বোলার?

হবে বিপুল কর্মসংস্থান: বৈষ্ণব জানান যে, এই প্ল্যান্টটি ২০০০ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে। উল্লেখ্য যে, দেশজুড়ে (India) এখন সেমিকন্ডাক্টর শিল্প বৃহৎ আকার ধারণ করছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিশ্বমানের ডিজাইন ফেসিলিটি তৈরি হয়েছে। রাজ্য সরকারগুলিও এগুলিকে উৎসাহিত করছে। ইতিমধ্যেই ২৭০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ৭০ টি স্টার্টআপে, শিক্ষার্থী ও উদ্যোক্তারা নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে নতুন পণ্য তৈরিতে নিযুক্ত রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলির শিক্ষার্থীদের দ্বারা তৈরি ২০ টি পণ্য HCL মোহালি দ্বারা টেপ আউট করা হয়েছে। টেপ আউট মানে ডিজাইনটি ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের জন্য জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

আরও পড়ুন: ভারতের বিরুদ্ধে উগরেছেন বিষ! আফ্রিদি হবেন পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী? পড়শি দেশে হইচই

এদিকে, ল্যাপটপ থেকে শুরু করে মোবাইল ফোন, সার্ভার, চিকিৎসা সরঞ্জাম, পাওয়ার ইলেকট্রনিক্স, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম এবং কনজিউমার ইলেকট্রনিক্সের উৎপাদন দ্রুত বৃদ্ধির সাথে সাথে সেমিকন্ডাক্টরের চাহিদাও বাড়ছে। সরকার ভারতকে (India) সেমিকন্ডাক্টরের সাপ্লাই চেনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে চায়। এর জন্য, কোম্পানিগুলিকে বিশাল ইনটেনসিভ দেওয়া হচ্ছে। এই দশকের শেষ নাগাদ ভারতে সেমিকন্ডাক্টরের বাজার ১১০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যা বিশ্ব বাজারের ১১ শতাংশ হবে। এই সেক্টর আগামী দশ বছরে দেশের GDP-তে ৬০ থেকে ৭০ হাজার কোটি টাকা অবদান রাখতে পারে। এই কারণেই কেবল ভারত নয়, বিশ্বের বড় বড় দেশগুলিও এখন সেমিকন্ডাক্টরের প্রতি মনোনিবেশ করছে।

দেখুন গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও:

Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

X