বাংলাহান্ট ডেস্ক : ফুঁসে উঠল ভারত। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যকে ‘অসভ্য’ বলে আক্রমণ করল নয়াদিল্লি (New Delhi)। এরই সঙ্গে কড়া ভাষায় ভারতের পক্ষ থেকে কড়া ভাষায় জানানো হয়েছে, হতাশার কারণেই বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি এই মন্তব্য করে ফেলেছেন। ভারতের পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয় ওই রকম মন্তব্যের পর জঙ্গি সংগঠনের মাস্টারমাইন্ডদের দিকে নজর দেওয়া উচিত বিলাওয়ালের।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘এটা অত্যন্ত নিম্নরুচির পরিচয়। এবং সেটা পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ১৯৭১ সালে আজকের দিনটা নিশ্চয়ই ভুলে গিয়েছেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী। বাঙালি এবং হিন্দুদের উপর পাকিস্তানি শাসকরা যে গণহত্যা চালিয়েছিল, সেটারই প্রত্যক্ষ ফলাফল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কীরকম আচরণ করতে হবে, তা নিয়ে পাকিস্তানের অবস্থানের খুব একটা পরিবর্তন কিন্তু হয়নি। গণতন্ত্রের পীঠস্থান ভারতের উদ্দেশ্যে এরকম অভিযোগ করার কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই।’
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের মুখোস খুলে দেন জয়শঙ্কর। বিশ্বজুড়ে কীভাবে সন্ত্রাসবাদে মদত জোগাচ্ছে পাকিস্তান, তা একেবারে নিখুঁতভাবে সকলের সামনে তুলে ধরেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। কিছু সময় পরই এক পাকিস্তানি সাংবাদিকের প্যাঁচালো প্রশ্নের মুখের উপর জবাবও দেন তিনি। একেবারে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, পাকিস্তান যে সন্ত্রাসবাদে মদত জোগাচ্ছে, তা নিয়ে গোটা বিশ্বে কোনও দ্বিমত নেই। এরই সঙ্গে সন্ত্রাসবাদে মদত জোগানোর পরিবর্তে আর্থিক উন্নতির দিকেও নজর দেওয়ার ‘পরামর্শ’ দেন এস জয়শঙ্কর।
আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই লজ্জাজনক পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে মোদির বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ শুরু করেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, যেভাবে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ থেকে চরিত্র সকলের সামনে পরিস্কার করে দিয়েছেন জয়শঙ্কর, তা থেকেই নজর ঘোরাতে মোদির বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ শানিয়েছেন তাঁরা।