বাংলাহান্ট ডেস্ক : সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আবারও ভারতের (India) তোপের মুখে পাকিস্তান (Pakistan)। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) নাম না করেই পাকিস্তানকে একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে গেল ভারত। ভারতের দাবি শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকে সন্ত্রাসবাদকে ভালো এবং খারাপে বিভক্ত করা বন্ধ করা উচিত। নাম না নিয়েই সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে পাকিস্তানকে জর্জরিত করার সফল কূটনৈতিক চাল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।
প্রসঙ্গত, রাষ্টসংঘের পাঁচ সদস্যের পাশাপাশি আরও ১০ সদস্য দেশকে ২ বছরের জন্য নির্বাচিত করা হয়। এই মুহুর্তে সেই ১০ দেশের মধ্যে একটি। ইতিমধ্যেই ভারত সন্ত্রাসবাদ বিরোধী ২টি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সভাপতিত্বে এই স্বাক্ষর হয় বলে জানা যাচ্ছে। বহুপাক্ষিক এই চুক্তিতে সন্ত্রাসবাদকে দমন করার নীতিকে সংস্কার করার কথা বলা হয়েছে।
এই মিটিংয়ের আগে রাষ্ট্রসংঘের সিকিউরিটি জেনারেল এন্টোনিও গুটারেসকে চিঠি লেখেন রাষ্ট্রসংঘে ভারত স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ। তিনি চিঠিতে লেখেন, ‘সন্ত্রাসবাদ এবং নিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিকে কাউন্সিলের আরও প্রাধান্য দেওয়া উচিত। ১১ সেপ্টেম্বর ২০০১ সালে নিউইয়র্কে সন্ত্রাসী হামলা আতংকবাদের এক লজ্জানক অধ্যায়। এরপর থেকেই সন্ত্রাসবাদ একের পর এক হামলা চালিয়েছে লন্ডন, মুম্বাই, প্যারিস এবং পশ্চিম এশিয়া এবং আফ্রিকার বিভিন্ন অংশে।’
রুচিরা এদিন আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের লক্ষ্য কোনও বিশেষ দেশ নয় বরং গোটা বিশ্ব। সন্ত্রাসবাদী, তাদের যারা মদত দেয়, যারা অর্থ যোগান দেয়, তারা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে। এই রকম একটা আন্তর্জাতিক সংকটকে দমন করতে গেলে সামগ্রিক প্রচেষ্টা দরকার। বিশ্বের প্রত্যেকটি রাষ্ট্রকে এস বিরুদ্ধতা লড়াই চালাতে হবে। তবেই সন্ত্রাসবাদের কালো ছায়া থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে।’ রুচিরার মতে সন্ত্রাসবাদকে ভালো বা খারাপের মাপকাঠিতে মাপা উচিত নয়। সন্ত্রাসবাদকে অজুহাত দেওয়া উচিত না। বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশ মূলত রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশগুলির উচিত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা।