বাংলাহান্ট ডেস্ক : হাসিনা সরকারের পতনের পর ক্রমাগত বাংলাদেশে (Bangladesh) বেড়েছে হিন্দু নির্যাতনের সংখ্যা। এমনকি ইউনূস সরকারের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একের পর এক ভারত বিরোধী মনোভাব প্রকাশ্যে এনেছে সাম্প্রতিক অতীতে। এই আবহে দুই দেশের বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে সুসম্পর্ক বজায় রাখার বার্তা দিলেও বাস্তব কিন্তু অন্য কথা বলছে।
বেকায়দায় পড়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh)
গত বুধবার বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত ধানমন্ডির বাড়ি ধ্বংসের ঘটনায় ইউনূস (Mohammad Yunus) সরকার তার দায়ভার চাপিয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তৃতার উপর। এমনকি এই ঘটনায় ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের উপরাষ্ট্রদূতকেও তলব করে সতর্ক করা হয়।
আরোও পড়ুন : দীর্ঘ ১২ বছর পর, জলসার পর্দায় নতুন করে ফিরছেন TRP টপার সিরিয়ালের জুটি
দুই দেশের দিপাক্ষিক সম্পর্কের তিক্ততার আঁচ লেগেছে সীমান্ত বাণিজ্যেও। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার ভারত (India) ও ভুটান (Bhutan) থেকে পাথর আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। অত্যধিক দামের কারণ দেখিয়ে এই দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে পাথর আমদানি বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ।
আরোও পড়ুন : গার্হস্থ্য হিংসা মামলায় বড় খবর! শ্বশুরবাড়িকে টানা নিয়ে বিরাট পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে নির্মাণ কার্য (কনস্ট্রাকশন ওয়ার্ক) বেশ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে গত ৫ই আগস্টের পর থেকে। সেই সময়ে অনেকটাই বাজার মূল্য কমে গিয়েছিল তোর্শা ও স্টোন বোল্ডার পাথরের। তখন ভারত ও ভুটান টন প্রতি ১০-১২ মার্কিন ডলারে পাথর রপ্তানি করত বাংলাদেশে।
এরপরই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকেন বুড়িমারী স্থলবন্দরের পাথর আমদানিকারকরা। বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে গত ৪ নভেম্বর চিঠি দেওয়া হয় ভারত ও ভুটানের পাথর রপ্তানিকারকদের। সেই চিঠিতে পাথরের রপ্তানি মূল্য ভারতের ক্ষেত্রে ৭ ডলার প্রতি মেট্রিক টন ও ভুটানের ক্ষেত্রে ১০ ডলার প্রতি মেট্রিক টন নির্ধারণ করার আবেদন জানানো হয়।