বাংলাহান্ট ডেস্ক : লোকসভা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ভারতের (India) রাজনৈতিক নেতারা। তবে নির্বাচনের আবহে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক কিন্তু বসে নেই। দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের হাতে এবার এল নতুন অস্ত্র। নতুন এই প্রযুক্তি শত্রু পক্ষের রেডারকে অকেজো করে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। সুখোই যুদ্ধবিমান থেকে অ্যান্টি-রেডার মিসাইলের পরীক্ষা সফল হয়েছে একদিন আগেই।
ডিআরডিও জানিয়েছে, যে কটি উদ্দেশ্যে পরীক্ষা করা হয়েছিল এই মিসাইল (Missile), রুদ্রম-টু তার সবকটিতেই উত্তীর্ণ হয়েছে। বিমানহানা বা মিসাইল হামলা রোধে রেডার সিস্টেম একমাত্র ভরসা। হামলাকারীকে আগে থেকে চিহ্নিত করে পাল্টা হামলার প্রযুক্তি থাকে এই রেডারে।সমর বিশেষজ্ঞদের কথায়, অ্যান্টি-রেডার মিসাইল সিস্টেম থাকলে আগে থেকে চিহ্নিত করা যায় শক্রুর মিসাইলকে।
আরোও পড়ুন : ইলেকট্রিক বিল দেখে মাথায় হাত?ভারতের এই রাজ্যে সব থেকে মহার্ঘ্য বিদ্যুৎ! দেখুন, কত নম্বরে পশ্চিমবঙ্গ
আগে থেকে চিহ্নিতকরণের ফলে পাল্টা মিসাইল হামলা করে তা নিষ্ক্রিয় করাও যায়। চারদিক থেকে আসা শত্রুপক্ষের রেডার নিষ্ক্রিয় করতে পারে রুদ্রম টু (Rudram II)। প্রায় ১০০ কিলোমিটারের কাছাকাছি এটির রেঞ্জ। রুদ্রম টু হাতে চলে আসায় ভারত আগে থেকেই চিহ্নিত করতে পারবে শত্রু পক্ষের আক্রমণকে। এছাড়াও প্রতিপক্ষের রেডারকেও করা যাবে আক্রমণ।
আরোও পড়ুন : মোটা ফাইন থেকে কড়া শাস্তি! এই বিখ্যাত ব্যাংকের উপর রাশ টানল RBI, আপনার অ্যাকাউন্ট আছে?
অন্যদিকে, চলতি মাসে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের কাছে দুটো ট্যাঙ্ক রিপেয়ার সেন্টার শুরু করা হয়েছে। ১৪ হাজার ৫০০ ফুট উঁচুতে দৌলত বেগ ওল্ডিতে ও নয়োমায় চালু হয়েছে সেন্টার দুটি। এগুলি বর্তমানে বিশ্বের সবথেকে উঁচু ট্যাঙ্ক রিপেয়ার সেন্টার। এছাড়াও প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, LAC- এর সংখ্যা আগামী ৫ বছরে দ্বিগুণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য লোকসভা নির্বাচন মিটে গেলেই ডাকা হবে টেন্ডার। এছাড়াও ২৫০টি কে-নাইন বজ্র ট্যাঙ্ক কেনা হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে। ভারতের কাছে এগুলি আসা শুরু হবে ২০২৫ সাল থেকেই। সবমিলিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সেজে উঠছে নতুনভাবে। আগামী দিনে শত্রু দেশকে ঘায়েল করতে নিজেদের এক কদম এগিয়ে রাখতে চাইছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।