বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময় সীমান্ত কাঁটাতার নিয়ে জাতীয় থেকে রাজ্য রাজনীতি স্তরে চর্চা তুঙ্গে। বিশেষ করে কাঁটাতারের বিবাদ নিয়ে ভারত এবং বাংলাদেশেও (Bangladesh) জল গড়িয়েছে বহুদূর। আর এই বিবাদের মাঝেই হঠাৎই দিল্লিতে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার নুরাল ইসলামকে ডেকে পাঠাল ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। সোমবার দুপুর নাগাদ তাঁকে দিল্লির সাউথ ব্লকে বিদেশ মন্ত্রকের দফতর থেকে বার হতে দেখা গেছে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠছে হঠাৎ তড়িঘড়ি ডেকে পাঠানোর কারণ কি? আবারও কি দুই দেশের বিবাদ চড়ল?
ভারতের তলব বাংলাদেশের (Bangladesh) দূতকে:
জানা গিয়েছে, কাঁটাতার বিতর্কের মাঝে রবিবার ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় বর্মাকে ডেকে পাঠায় মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। আর ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই এবার তলব বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারকে। বিশিষ্ট সংবাদ মাধ্যম সূত্রে এমনই খবর উঠে এসেছে। কিন্তু ঠিক কি কারণে ভারতে ডেকে পাঠানো হয়েছে সে বিষয়ে বিশেষ কোনো সঠিক তথ্য জানা যায়নি। তবে সরকারি সূত্রে এতটুকু খবর জানা গিয়েছে যে, বাংলাদেশি (Bangladesh) দূতকে বলা হয়েছে অবিলম্বে সীমান্তের কাজে বাধা দেওয়া বন্ধ করতে।
আসলে ভারত এবং বাংলাদেশের (Bangladesh) সীমান্তে একটি বিস্তীর্ণ অঞ্চল আজও কাঁটাতার বিহীন রয়ে গিয়েছে। জানা যাচ্ছে প্রায় ৫৩৮ কিলোমিটার এলাকায় কোনও কাঁটাতার নেই। আর এরপরই শোনা যায়, বিএসএফ ওই এলাকায় কাঁটাতার বসানোর কাজ শুরু করেছে। আর সেই কাজে বাধা সৃষ্টি করছে বাংলাদেশের বিজিবি। এদিকে ইউনূস সরকারের দাবি এমন কাঁটাতার দেওয়ার ফলে ওই এলাকায় শান্তি ভঙ্গ হচ্ছে, সেই সাথে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিও নষ্ট হচ্ছে। এরপরই অভিযোগ ওঠে মালদহের কালিয়াচকে এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে কাঁটাতার বসানোর সময় বিজিবি বারবার বাধা দিচ্ছে। আর যার ফলে দুই দেশে ঠোকাঠুকি শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বাড়ছে এই সরকারি প্রকল্পের টাকা! নতুন বছরেই বড় ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
দুই দেশের সম্পর্কের চরম গরমের মাঝেই রবিবার ডেকে পাঠানো হয় ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণব বর্মাকে। জানা যায়, এদিন বাংলাদেশের (Bangladesh) পররাষ্ট্রসচিব জসীমউদ্দিনের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। এই বিষয়ে প্রণব জানান “নিরাপত্তার জন্য সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে। এ ব্যাপারে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আমরা আশা করি, সীমান্তে অপরাধ দমনের বিষয়ে সহযোগিতার মাধ্যমে সেই বোঝাপড়ার বাস্তবায়ন হবে।” প্রণয় আরও জানিয়েছেন, চোরাচালান, অপরাধীদের আসা-যাওয়া, পাচারের চেষ্টার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে দুজনের সাথে। সবমিলিয়ে বিস্তর আলোচনা করেছেন দুজনে।
আরও পড়ুনঃ জোড়া ঘূর্ণাবর্তে ১১ রাজ্যে টানা ঝড়-বৃষ্টি! জারি সতর্কতা, কী হবে বাংলায়? IMD-র আপডেট
আর এর ঠিক একদিন পরেই ভারতে ডাক পড়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh) ডেপুটি হাইকমিশনার নুরাল ইসলামকে। তবে বাংলাদেশের দূতের সাথে ঠিক কি কথা হয়েছে সবটাই এখনও ক্রমশ প্রকাশ্য। কিন্তু আগামী দিনে এই সীমান্ত কাঁটাতার নিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক ঠিক কোন অবস্থায় পৌঁছাবে সেটাই চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।