বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা এবং উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) আজ উড়িষ্যার চাঁদিপুর থেকে সকালে ব্রহ্মস (Brahmos) সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের সফল পরীক্ষণ করলো। সুত্র থেকে জানা যায় যে, মাটি থেকে মাটিতে লক্ষ্য ভেদ করায় সক্ষম এই মিসাইল মোবাইল লঞ্চার থেকে সকাল ৮ঃ৩০ নাগাদ চাঁদিপুর ইন্ট্রিগ্রেট টেস্ট রেঞ্জের লঞ্চ কমপ্লেক্স – ৩ থেকে পরীক্ষণ করা হয়। এই মিসাইল জমি, সমুদ্র আর আকাশ এই তিন জায়গা থেকেই ফায়ার করা সম্ভব।
Defence Research and Development Organisation (DRDO) today successfully test fired a BrahMos supersonic cruise missile off the coast of Odisha in which it was launched with an advanced indigenous seeker. The target of the missile was a ship. pic.twitter.com/Xkmt7TJHUM
— ANI (@ANI) December 17, 2019
ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা এবং উন্নয়ন সংস্থা সুত্র অনুযায়ী, জমি থেকে জমিতে মারক ক্ষমতা পরীক্ষণ করার পর এরপরের পরীক্ষণ SU-30MKI লড়াকু বিমান থেকে করা হয়েছে। এই পরীক্ষণ বায়ুসেনা করেছে। বায়ুসেনার লড়াকু বিমান মিসাইল্কে সমুদ্রে থাকা নিশানাকে ভেদ করে। মিসাইল কোন ভুল ছাড়াই একদক অচুক নিশানার মাধ্যমে টার্গেট ধ্বংস করে। এই পরীক্ষণের পর প্রমাণ হল যে, বায়ুসেনা যুদ্ধ জাহাজকে এই মিসাইলের মাধ্যমে সহজেই ধ্বংস করতে পারবে। আজকের এই দুটো পরীক্ষণই সফল হয়েছে।
ব্রহ্মস মিসাইল মিডিয়াম রেঞ্জ পর্যন্ত লক্ষ্য ভেদ করা রেমজেট সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। এই মিসাইল আপাতত ৩০০ কিমি পর্যন্ত লক্ষ্যকে ভেদ করতে পারে। আগামী দিনে ভারত আর রাশিয়া সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল ব্রহ্মস এর রেঞ্জ ৩০০ কিমি থেকে বাড়িয়ে ৬০০ কিমি করবে। এর ফলে শুধু গোটা পাকিস্তানই এই মিসাইলের রেঞ্জে থাকবে না। অন্যান্য অনেক লক্ষ্য গুলোকে নিমিষেই ধ্বংস করে দেবে এই সুপারসনিক মিসাইল। ব্রহ্মস কম দূরত্বের রেমজেট ইঞ্জিন যুক্ত সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। এই মিসাইলকে সাবমেরিন, জাহাজ, যুদ্ধ বিমান অথবা মাটি থেকেও সহজেই ফায়ার করা যায়। ব্রহ্মস মিসাইলকে দিন হোক আর রাত, আর যেকোন আবহাওয়াতেই ফায়ার করা যেতে পারে। আর কোন পরিস্থিতিতেই এই মিসাইলের মারক ক্ষমতা কমে না। আপাতত চীন আর পাকিস্তানের কাছে এরকম শক্তিশালী মিসাইল নেই।
রেমজেট ইঞ্জিনের কারণে এই মিসাইলের ক্ষমতা তিন গুণ বেড়ে যায়। যদি কোন মিসাইলের ক্ষমতা ১০০ কিমি দূর পর্যন্ত থাকে, তাহলে এই রেমজেট ইঞ্জিনের সাহায্যে সেটিকে ৩০০ কিমি দূর পর্যন্ত করা যায়। রাশিয়ার সংস্থা আর ভারতের ডিআরডিও মিলে এই সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলকে উন্নত করার কাজ করেছে। এই মিসাইল রাশিয়ার পি-৮০০ ক্রুজ মিসাইলের টেকনোলোজির উপর আধারিত। ব্রহ্মস মিসাইলের নাম ভারতের ব্রহ্মপুত্র নদী আর রাশিয়ার মস্কবা নদীর নামে রাখা হয়েছে। এই সুপারসনিক মিসাইলের গতি শব্দের গতির থেকে তিন গুণ বেশি। এই মিসাইল ফায়ার হলে, শত্রুরা বাঁচার জন্য সময় পাবেনা।