বিধ্বংসী এক মারণাস্ত্র তৈরি করছে ভারত, স্বদেশী এই হাতিয়ার ঘুম ওড়াবে শত্রুদের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার প্রতিরক্ষা খাতে বড়সড় সাফল্যের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল ভারত। ইতিমধ্যেই, DRDO (Defence Research and Development Organisation) জানিয়েছে যে, তারা এবার অ্যাস্ট্রা মিসাইলের ( Astra Missiles) দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সংস্করণ তৈরি করতে চলেছে। পাশাপাশি, এই প্রসঙ্গে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, DRDO-র বিজ্ঞানীরা এয়ার টু এয়ার মিসাইল Astra MK-1 এবং Astra MK-2 তৈরি করতে দ্রুত কাজ করছেন। এদিকে, এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলির ক্ষমতা সম্পর্কে জানলে চমকে উঠবেন যে কেউই। শত্রু দেশ গুলির ঘুম উড়িয়ে দিয়ে এগুলি ভারতের কাছে কার্যত “ব্রহ্মাস্ত্র” হিসেবে পরিগণিত হবে।

উভয় ক্ষেপণাস্ত্রের শক্তি:
মূলত, এই মিসাইলগুলি হল বিয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল (BVRAAM)। অর্থাৎ যেখানে পাইলটের চোখ যায়না সেখানেও শত্রুদের নিকেশ করে দেওয়া সম্ভব এগুলির ফলে। সবচেয়ে বড় কথা হল, শত্রু দেশের রাডারও এদের ওপর কাজ করবে না। অর্থাৎ এটি রাডারকে ফাঁকি দিতেও পারদর্শী।

এছাড়াও, MK-1 মিসাইল ১৬০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। অন্যদিকে MK-2 ক্ষেপণাস্ত্রটি ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। পাশাপাশি, এই ক্ষেপণাস্ত্রের সবচেয়ে বড় শক্তি হল এটি তার ফাইটার জেটকে স্ট্যান্ড অফ রেঞ্জ প্রদান করে। অর্থাৎ স্ট্যান্ড অফ রেঞ্জ মানে শত্রুর দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে নিজেও তার আক্রমণ থেকে বাঁচতে সঠিক সময় পাওয়া যায়।

কবে নাগাদ আসবে এগুলি:
আপাতত জানা গিয়েছে যে, Astra MK-2 ক্ষেপণাস্ত্রটি ২০২৩ সালে, এবং Mk-3 ক্ষেপণাস্ত্রটি ২০২৪ সালে লঞ্চ হবে। এখনও পর্যন্ত এই শ্রেণির দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের কোনো অস্তিত্ব ছিল না। এর আগে গত ৩১ মে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড (BDL)-এর সাথে ভারতীয় বিমান বাহিনী এবং ভারতীয় নৌবাহিনীকে Astra Mk-1 ক্ষেপণাস্ত্র এবং সেই সম্পর্কিত সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত করার জন্য ২,৯৭১ কোটি টাকার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল।

WhatsApp Image 2022 06 11 at 1.39.54 PM

কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা:
এই প্রসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল অনিল চোপড়া জানিয়েছেন, ভারতের জন্য Astra Mk-2 এবং Astra Mk-3-এর মত ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। পাশাপাশি, এটি বিমান বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা মেটায়। সম্ভাব্য দূরতম রেঞ্জে লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করতে এবং আঘাত হানতে এই দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র ভবিষ্যতে একটি মাইলফলক হিসেবে প্রমাণিত হবে। পাশাপাশি, রাডারের শনাক্তকরণের পরিসর বাড়ানো এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির জন্য এটি একটি দুর্দান্ত শুরু বলেও মনে করেছেন তিনি।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর