বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আফগানিস্তানে (Afghanistan) বিগত কয়েক বছরে হিন্দু আর শিখেদের উপর অত্যাচারের অনেক মামলা সামনে এসেছে। সেখানে পাকিস্তান (Pakistan) সমর্থিত সন্ত্রাসীরা এই সংখ্যালঘু হিন্দু আর শিখদের নিশানা করে। আর এই কারণে মোদী সরকার (Modi Sarkar) এবার বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সুত্র অনুযায়ী, প্রায় ৭০০ আফগান শিখ আর হিন্দুকে দিল্লী আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এবার এদের সবাইকে ভারতে (India) শরণ দেওয়া হবে।
We welcome the safe return of Shri Nidan Singh Sachdeva, a leader of the Hindu and Sikh community in #Afghanistan.
We convey our appreciation to the Afghan leadership, security forces and tribal elders whose efforts secured the return.
— Arindam Bagchi (@MEAIndia) July 18, 2020
সুত্র অনুযায়ী, ভারত সরকারের তরফ থেকে খুব শীঘ্রই এদের দিল্লী নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হবে। এরপর এদের সবাইকে দীর্ঘকালীন ভিসা দেওয়া হবে। আপনাদের জানিয়ে দিই, বিগত কয়েক মাসে আফগান শিখ নেতা আর হিন্দু নেতা সমেত সংখ্যালঘু মানুষদের উপর অত্যাচার বাড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান সমর্থিত সন্ত্রাসী সংগঠন গুলো। সেখানে এক আফগান শিখ নেতাকে অপহরণও করে নেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকে সুরক্ষা নিয়ে চিন্তা বেড়ে যায়।
উল্লেখ্য, ভারতের অনেকেই কাজের সূত্রে আফগানিস্তানে থাকে, আর সেই কারণে পাকিস্তান সমর্থিত সন্ত্রাসী সংগঠন গুলো আফগানিস্তানে ভারতীয় এবং সংখ্যালঘুদের নিশানা বানায়। আর এটা বিগত কয়েক বছরে সহস্রবার হয়েছে। আপনাদের জানিয়ে দিই, ভারত সরকার গত বছরই নাগরিকতা সংশোধন আইনে বদল এনেছিল। ওই আইন অনুযায়ী, পাকিস্তান, আফগানিস্তান আর বাংলাদেশে থাকা হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিষ্টান, ইসাই আর পারসিদের ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।
যদিও এই আইন নিয়ে গোটা দেশ বিক্ষভের আগুনে জ্বলেছিল। সবার একটাই দাবি ছিল যে, এদের নাগরিকতা দেওয়া হলে মুসলিমদের কেন বাদ দেওয়া হবে? সরকারের তরফ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, এই দেশগুলো থেকে শুধুমাত্র সংখ্যালঘুদেরই ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে সংখ্যাগুরুদের না। গোটা দেশ এই আইনের বিরুদ্ধে উত্তাল হলেও, কেন্দ্র সরকার সংসদের দুই ভবন থেকেই এই আইন সহজেই পাশ করিয়ে নেয়।