বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতির কৃতিত্ব নিয়ে সম্প্রতি বিষ্ফোরক দাবি করতে দেখা যায় মার্কিন (America) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। সংঘর্ষ বন্ধ না করলে বাণিজ্য হবে না, এমন শর্ত দিতেই নাকি উত্তেজনা কমাতে রাজি হয়েছে ভারত পাকিস্তান। ট্রাম্পের এহেন মন্তব্যে চাঞ্চল্য ছড়ায় বিভিন্ন মহলে। মার্কিন (America) প্রেসিডেন্টের এমন আগ বাড়িয়ে কৃতিত্ব নেওয়ার ব্যাপারটা যে ভারতের পছন্দ হয়নি তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বার্তাতেই। আর এবার ট্রাম্পের শুল্কনীতিকে পালটা বড়সড় প্রত্যাঘাত দিতে বড় পদক্ষেপ নিল নয়াদিল্লি।
ভারত আমেরিকার (America) মধ্যে এবার শুল্ক যুদ্ধ?
সোমবার বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় কয়েকটি মার্কিন পণ্যের উপরে পালটা শুল্ক চাপানো নিয়ে প্রস্তাব রেখেছে ভারত। যেমনটা জানা গিয়েছে, ভারতে উৎপাদিত স্টিল এবং অ্যালুমিনিয়ামের পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা (America)। ভারত থেকে প্রায় ৭০০ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি করা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু ট্রাম্পের চাপানো শুল্ক নীতির জেরে সেই রপ্তানি এখন দাঁড়িয়েছে প্রশ্নের মুখে।
অতিরিক্ত শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা: WTO তে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে নয়াদিল্লি। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে ভারত থেকে ৭০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের অ্যালুমিনিয়াম এবং স্টিলের পণ্য কিনে থাকে আমেরিকা (America)। কিন্তু ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক চাপানোয় ওই পণ্যের উপরে প্রায় ২০০ কোটি টাকার ট্যারিফ দিতে হবে। এবার এই বিপুল পরিমাণ শুল্কের পালটা জবাব দিতে ভারতও প্রত্যাঘাত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পালটা প্রস্তাব নয়াদিল্লির: ট্রাম্পের শুল্ক নীতিকে উচিত জবাব দিতে বেশ কিছু মার্কিন (America) পণ্যের উপরে পালটা শুল্ক চাপানোর জন্য বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় প্রস্তাব রেখেছে নয়াদিল্লি। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৮ সালেও ভারত থেকে রপ্তানি হওয়া স্টিল এবং অ্যালুমিনিয়াম পণ্যের উপরে ২৫ শতাংশ এবং বাড়তি আরো ১০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিল আমেরিকা। তার পালটা ২০১৯ সালে বেশ কিছু মার্কিন (America) পণ্যের উপরে শুল্ক চাপায় ভারত।
আরো পড়ুন : আত্মহত্যা নয়, তবে? দিলীপ জায়া রিঙ্কুর পুত্রের ময়না তদন্তের রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য!
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ভারত পাক সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট মন্তব্য করেন, “আমরা অনেক সাহায্য করেছি, বাণিজ্যের দিক দিয়েও সাহায্য করেছি। এরপরেই ট্রাম্প (Donald Trump) বলেন, ” আমি তাঁদের বলেছিলাম, আমরা আপনাদের সঙ্গে বাণিজ্য অনেক বাড়িয়ে দেব, যদি আপনারা সংঘাত বন্ধ করেন তাহলে। বন্ধ না করলে বাণিজ্য হবে না। তারপরেই হঠাৎ তাঁরা বললেন, ঠিক আছে আমি সংঘর্ষ বন্ধ করে দিচ্ছি আর সত্যিই তাই করলেন”।