১৯৪৭ সালে ভারত থেকে পাকিস্তান যাত্রা ছিল এত সস্তা! ভাইরাল ভারতীয় রেলের ৭৬ বছরের পুরনো টিকিট

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভারতীয়দের (Indian) কাছে এক অদ্ভুত ভালোবাসার জিনিস হল রেল (Indian Railways)। দেশের ১৪০ কোটি মানুষের যাতায়াতের প্রথম পছন্দ হল রেলপথ। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী সবচেয়ে কম খরচে যদি কেউ পৌঁছে দিতে পারে তাহলে তা হল রেলপথ। এই নিয়ে মানুষের নস্টালজিয়ার শেষ নেই। সম্প্রতি এরকমই নস্টালজিয়া উসকে একটি পুরোনো রেল টিকিটের ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

১৯৪৭ সালের এই রেল টিকিটের ভাড়া দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়েছে নেট নাগরিকদের। একে তো পুরোনো টিকিট তার উপর স্বাধীনতার সময়কার, সবে মিলিয়ে এই টিকিটটি দেখে নেটিজনদের আবেগের শেষ নেই। পাকিস্তানের (Pakistan) রাওয়ালপিন্ডি থেকে অমৃতসর যাওয়ার এই ট্রেনের টিকিট ছিল ৯ জনের জন্য। পাকিস্তান থেকে ভারত আসার এই টিকিটের দাম কত ছিল শুনবেন?

জানা যাচ্ছে, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান থেকে ভারতগামী ট্রেনের এসি কোচের ভাড়া ছিল মাত্র ৪ টাকা। ৯ জন যাত্রীর জন্য ট্রেনের মোট ভাড়া ছিল ৩৬ টাকা ৯ আনা। সম্প্রতি পাকিস্তান রেল লাভার্স নামে একটি ফেসবুক পেজ থেকে পুরোনো টিকিটের এই ছবিটি শেয়ার করা হয়েছে। তারপর থেকেই আবেগে ভাসছে দুই দেশের মানুষ।

পাকিস্তান রেলপ্রেমীরা টিকিটের ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, “১৭-০৯-১৯৪৭ তারিখে স্বাধীনতার পর ৯ জনের জন্য জারি করা একটি ট্রেনের টিকিটের ছবি, রাওয়ালপিন্ডি থেকে অমৃতসর পর্যন্ত, যার দাম ৩৬ টাকা এবং ৯ আনা। সম্ভবত এই টিকিটটি ভারতে আসা একটি পরিবারের।” আশ্চর্যের বিষয় হল এই টিকিটটি থার্ড এসির এবং ওয়ান-ওয়ে যাত্রার।

এই টিকিট দেখে বোঝা যায়, তখন ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে রেলের এসি কোচের ভাড়া ছিল জনপ্রতি মাত্র ৪ টাকা। ভাইরাল হওয়া এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে এই পুরনো টিকিটটি ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭ সালের। এই টিকিটে সমস্ত বিবরণ কলম দিয়ে লেখা হয়েছে। অর্থাৎ সেই সময় কোনো প্রিন্টেড বা কম্পিউটারাইজড টিকিট ছিল না। জানিয়ে রাখি দেশভাগের আগে নর্থ ওয়েস্টার্ন রেলওয়ে জোন পাকিস্তানে আসত।

পুরনো এই টিকিটের ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সেই সঙ্গে এই টিকিটের দাম দেখে বিস্ময় প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ। কেউ কেউ বলছেন এই টিকিট বিদেশীও হতে পারে। বেশিরভাগ মানুষের বক্তব্য, ‘তখন পর্যন্ত পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা এত সহজ ছিল, কিন্তু এখন আগের মতো পরিস্থিতি নেই।’

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর