বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনার কারণে টসের দু’ঘণ্টা আগে বাতিল করে দিতে হয় ম্যানচেস্টার টেস্ট। ভারতীয় দলের কোচ রবি শাস্ত্রী, ভারত অরুণ, আর শ্রীধরদের পর বুধবার দলের দ্বিতীয় ফিজিও যোগেশ পারমারের কোভিড রিপোর্টও পজিটিভ আসে। আর তারপর থেকেই ম্যানচেস্টার টেস্ট নিয়ে তৈরি হয়েছিল আশঙ্কার বাতাবরণ। অবশেষে ইসিবি এবং বিসিসিআইয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ম্যাচ বাতিল করে দেওয়া হয়। কিন্তু তারপর থেকেই প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং ইংরেজ মিডিয়া লাগাতার প্রশ্ন তুলছে আইপিএল নিয়ে। এমনকি ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ভনও মনে করেন, আইপিএলের কারণেই তাড়াতাড়ি ম্যাচ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল খেলোয়াড়রা।
কিন্তু এবার সংবাদ মাধ্যমে উঠে এল এক সম্পূর্ণ অন্য রিপোর্ট। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, ম্যানচেস্টার টেস্ট কোনভাবেই বাতিল করতে চাননি ভারতীয় খেলোয়াড়রা। এমনকি ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি ম্যাচ দুদিন স্থগিত রেখে তারপর শুরু করার কথাও বলেন। সেই সূত্র ধরে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের কাছে আবেদনও জানিয়েছিল বিসিসিআই। কিন্তু ভারতীয় বোর্ডের আবেদন মেনে নেয়নি ইসিবি। যার ফলে কার্যত অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে যায় এই টেস্ট ম্যাচ। ভারত অধিনায়ক কোহলির মতে, খেলোয়াড়দের রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও ১০ সেপ্টেম্বর থেকে খেলা শুরু করায় যথেষ্ট ঝুঁকি ছিল। সেই কারণেই খেলা দুদিন স্থগিত রাখার আবেদন করেছিলেন তারা।
যদিও সম্পূর্ণ অন্য মত পোষণ করছে ইসিবি। তারা বিবৃতিতে জানিয়েছে, “ভারতীয় শিবিরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত তার দলকে মাঠে নামাতে চায়নি। জানা গেছে, অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং অন্যান্য খেলোয়াড়রা এই ম্যাচে খেলতে চাননি, বিসিসিআই কর্মকর্তারা তাদের বোঝাতে ব্যর্থ হন।” যদিও এবার সামনে আসা সংবাদমাধ্যমের এই রিপোর্ট সত্যি হলে ইংল্যান্ড বোর্ডের এই কথার কোন গুরুত্ব থাকেনা।
কার্যত ম্যাচ বাতিল হওয়ার পর থেকেই লাগাতার আইপিএলকে দোষ দিয়ে আসছে ইংরেজ মিডিয়া। একথা ঠিক যে ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইনে যেতে হলে খেলোয়াড়দের আইপিএল খেলা নিয়ে সমস্যা তৈরি হতো। কিন্তু দুদিন বাদে ম্যাচ শুরু করলে এ ধরনের কোনও সমস্যাই থাকতো না। ওল্ড ট্রাফোর্ডে এই ম্যাচ না হওয়ায় যথেষ্ট ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। যদিও বিসিসিআই এবং ইসিবির পক্ষ থেকে যৌথ আলোচনা হয়েছে ইতিমধ্যেই। যারা গিয়েছে ২০২২ সালে ভারত যখন ইংল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি এবং একদিনের ম্যাচের সিরিজ খেলতে যাবে তখনই খেলা হতে পারে এই অসমাপ্ত টেস্টটি।