বাংলাহান্ট ডেস্ক : বর্তমানে চীন (China) দখল করেছে শ্রীলংকার হামবানটোটো বন্দর। চীন ঘনিষ্ঠ পুষ্প কমল দহল বসেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে। চীনের ফৌজ নৌসেনা ঘাঁটি তৈরি করেছে আফ্রিকার জিবৌতিতে। পাশাপাশি বেজিং নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে চাইছে বাংলাদেশেও। এমন অবস্থায় বাংলাদেশে (Bangladesh) নতুন বিমানবন্দর (Airport) তৈরি করতে আগ্রহী ভারত (India)।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, চীনকে ঠেকাতে দিল্লি নতুন কৌশল তৈরি করছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা মঙ্গলবার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ অসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ মফিদুর রহমানের সাথে। এই সৌজন্য সাক্ষাতে ভার্মা নয়া দিল্লির এই পরিকল্পনার কথা জানান।
ভারতের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের উড়ান খাতে নিয়োজিত কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান, বন্দরগুলির সক্ষমতা বৃদ্ধি, ভারতীয় অর্থের মাধ্যমে নতুন বিমানবন্দর তৈরি ও সহযোগিতার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়াও এই বৈঠকে আলোচনা করা হয় দুই দেশের অ্যাভিয়েশন বিভাগে সহযোগিতা বৃদ্ধি ও বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন সেক্টরে জনবল গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়।
প্রসঙ্গত, বিগত দশকে চীনের সাথে বাংলাদেশের ঋণের সম্পর্ক মজবুত হয়। ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশ সফরকালে ২৭ টি প্রকল্পে ২ হাজার কোটি ডলার সাহায্যের আশ্বাস দেন। এরপর চীনের সাহায্যে বিভিন্ন প্রকল্প হয়েছে বাংলাদেশে। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ঢাকা চীনা ঋণের ক্ষেত্রে “ধীরে চলো নীতি” গ্রহণ করেছে।