বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আবারও আলোচনার শীর্ষে উঠে এল G7 দেশের সংগঠন। ১৯ শে ফেব্রুয়ারী G7 দেশের একটি ভার্চুয়াল বৈঠক আয়োজিত হতে চলেছে। এই বৈঠকে আমেরিকার নব রাষ্ট্রপতি জো বিডেন একদিকে করোনা মহামারি, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং অন্যদিকে চীনের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা করবে।
এই বৈঠকের প্রাধান্য দেবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এই বৈঠকে অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ পেয়েছে ভারত (india) কিন্তু বাদ পড়েছে চীন (china)। চীনকে এই বৈঠক থেকে বাদ রাখার প্রসঙ্গ নিয়েও চর্চার শেষ নেই।
চীনকে বাদ রাখার বিষয়ে জানা গিয়েছে, পরিবর্তীত অন্তরাষ্ট্রীয় পরিস্থিতির মধ্যে এবারের G7 দেশের বৈঠক হতে চলেছে। মার্কিন মসনদে এখন ট্রাম্পের বদলে নিজের জায়গা বুঝে নিয়েছেন বিডেন। অন্যদিকে, অনুষ্ঠানের অতিথি রূপে নিমন্ত্রণকারী ভারতের সঙ্গেও চীনের সীমান্ত সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে।
তবে একটা প্রশ্ন থেকেই যায়, মহাশক্তি হওয়ার স্বপ্নধারী চীন কেন এই বৈঠক থেকে বাদ পড়ল? চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ আর্থিক শক্তিধর দেওশ হওয়া সত্ত্বেও, এই বৈঠকে অংশ নিতে পারল না। কারণ, চীন সর্বাধিক জনসংখ্যার দেশ হলেও, চীনের প্রতি ব্যক্তির আয় G7 দেশের তুলনায় অনেক কম। এই পরিস্থিতিতে চীনকে আর্থিক দিক থেকে বিচার করে এই বৈঠক থেকে বাদ রাখা হয়েছে।
চীনের পাশাপাশি এই বৈঠকে স্থান পায়নি রাশিয়াও। ১৯৯৮ সালে G7 দেশের বৈঠকের অংশ হওয়ায় রাশিয়াকে নিয়ে G7 থেক G8 হয়ে যায়। কিন্তু ২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে ক্রেমিয়া দখল করার পর থেকে রাশিয়াকে এই সংগঠন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে পরবর্তীতে রাশিয়াকে এই সংগঠনের অংশ করার বিষয়ে বহুবার বলা হলেও, এখনও বাদ রয়েছে চীন, রাশিয়া।