ভারতকে সমৃদ্ধশালী অর্থভান্ডার করে তুলবে ৫ ট্রিলিয়ন ইকোনমি, মাত্র কিছু বছরেই হবে বাস্তবায়ন

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) সম্প্রতি বারাণসীতে বলেছিলেন যে তিনি শীঘ্রই ভারতকে ৫ ট্রিলিয়ন অর্থব্যবস্থা বানানোর স্বপ্ন দেখেন। এর সাথে এই প্রশ্নটি চর্চায় উঠেছিল যে আসলে এই ৫ ট্রিলিয়ানের অর্থব্যবস্থার মানে কি ? ভারত বাদে আর কোন কোন দেশ এই উপলব্ধিকে প্রাপ্ত করেছে এবং ভারত কত দিনের মধ্যে এই লক্ষকে প্রাপ্ত করে নেবে? ৫ ট্রিলিয়ানের অর্থ হলো ৫ লাখ কোটি। অর্থাৎ দেশের অর্থ ব্যবস্থার আকার ৫ লাখ কোটি হওয়া উচিত। এবার একটু অতীতে যাওয়া যাক। PM মোদী এটিও পরিষ্কার করেছে যে গত ৫৫ বছরে ভারত মাত্র ১ ট্রিলিয়ানের ডলারের অর্থ ব্যাবস্থা তৈরি করতে পেরেছিল আর গত ৫-৬ বছরেই তা ৩ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থব্যবস্থা হয়ে গেছে। এই গ্রোথ অপ্রত্যাশিত। পিএম যে লক্ষকে নিয়ে চলছে তার জন্য দেশকে ৮ শতাংশের গ্রোথ রেট দরকার। এরজন্য দরকার পড়বে ভালো বিনিয়োগের।

b44ce8a6 44c1 11ea bfa0 35d85fc987f6

এই উপলব্ধি প্রাপ্ত হওয়ার সাথে দেশের  অর্থব্যাবস্থা ব্রদ্ধি হলে গ্রোথ পার ক্যাপিটালও বৃদ্ধি পাবে। প্রাইস ওয়াটার হাউস ত্রুপাসের অনুযায়ী, ২০৫০ সালে ভারত GDP হবে ৪৪.১২৮ ট্রিলিয়ন US ডলার। ভারতের থেকে সামান্য এগিয়ে থাকবে চীন। ভারত দ্বিতীয় স্থান দখল করবে এবং আমেরিকা তৃতীয় স্থানে থাকবে। ভারতের জনগণ সামান্য প্রচেষ্টা বাড়ালে প্রথম স্থানেও চলে আসতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

ভারতের আগে আমেরিকা, জাপান ও চীনে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থ ব্যাবস্থা তৈরি হয়ে গেছে। কিন্তু এটি এতো সোজা নয়। আমেরিকাকে এই উপলব্ধি করতে ৯ বছর লেগে গেছিল। জাপানের ৮ বছর। শুধু চীন মাত্র ৩ বছরে এটিকে প্রাপ্ত করবে পেরেছে। সরকার এই উপলব্ধির জন্য তিনটি স্তরে কৌশল বানাচ্ছে। সরকারি খরচে গতি আনা হবে। মৌলিক গঠনে মারাত্মক বিনিয়োগের পরিকল্পনা আছে। যদি ৫ বছরে ১০০ লাখ কোটির বিনিয়োগের লক্ষ থাকে। সরকার রপ্তানিকে উদ্দীপক করার বড় পরিকল্পনার উপর কাজ করছে। এরসাথেই নিজ বিনিয়োগের সীমায় অভূতপূর্ব বৃদ্ধির লক্ষ আছে। আগামী কিছু বছরে ট্রিলিয়ন ইকোনমি বানানোর স্বপ্ন মাটিতে নামানোর জন্য সরকার কোনো খামতি রাখতে চায়না। বাজেটে সরকার ট্যাক্সের ছাড় নিয়ে যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা দেশকে বড়ো লাভ দিতে চলেছে এ নিয়ে সন্দেহ নেই।

জানিয়ে দি, দেশের অর্থব্যবস্থাকে মজবুত করার জন্য দেশের মানুষ নিজের স্তরে যা করতে পারে তা হলো নিজের নিজের কাজের প্রতি মনযোগ বৃদ্ধি দিয়ে পরিশ্রম করা এবং জনগণের মধ্যে দেশপ্রেমের চেতনা বৃদ্ধি করা। আসলে ভারতের প্রচুর টাকা বিদেশী কোম্পানির হাতে চলে যায়। মানুষের মধ্যে দেশের প্রতি চেতনা বৃদ্ধি হলে বিদেশের হাতে দেশের অর্থ যাওয়ার পরিমান কম হবে। ভারতের জনগন সকালে ঘুম থেকে ইথে টুথপেস্ট থেকে শুরু করে খাবারের পর কোল্ড ড্রিঙ্কস সবক্ষেত্রে বিদেশী কোম্পানির পণ্য প্রচুর পরিমানে ব্যাবহার করে। এমনকি পোশাকের ক্ষেতেও ভারতীয়রা বিদেশের ব্যান্ড ক্রয় করতে গিয়ে দেশের টাকা দেশের বাইরে প্রেরণ করে। ভারতীয়রা সচেতন হয়ে  দেশের কোম্পানিগুলির উপর ভরসা বাড়ালে দেশের প্রচুর অর্থ সঞ্চয় হবে এবং খুব সহজেই বড়ো আর্থিক শক্তি হিসেবে উঠে আসা যাবে।


Admin

Krishna Chandra Garain, BIET alum, blends mechanical ingenuity with literary finesse. An adept in technical and business content, his words breathe life into concepts. With a background in mechanical engineering, he navigates complexities effortlessly, crafting narratives that enlighten and inspire. A virtuoso of words, Krishna transforms ideas into captivating realities.

সম্পর্কিত খবর