বাংলাহান্ট ডেস্ক : ‘সব লাল হো জায়েগা’, ভারতে ব্রিটিশ আগ্রাসন (British Imperialism) একসময় বলেছিলেন ‘পাঞ্জাব কেশরী’ রঞ্জিত সিং (Ranjit Singh)। এবার যদি কেউ বলেন ‘সব হারা হো জায়েগা’, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। অন্তত ভারত তথা বিশ্বের তাবড় কট্টরপন্থী ইসলাম সংগঠনের (Islamic Organization) পরিকল্পনা তেমনই আছে। এমনই দাবি করেছে পাটনা থেকে গ্রেফতার হওয়া দুই আতঙ্কবাদী। জানা যাচ্ছে, ইসলাম সংগঠনগুলির পরিকল্পনা হলো ২০৪৭ সালের মধ্যেই ভারতকে ইসলাম শাসিত রাষ্ট্রে পরিণত করা। তাদের এই মন্তব্যের পর রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেশ জুড়ে।
সম্প্রতি দেশ বিরোধী কার্যকলাপের জন্য পাটনা থেকে গ্রফতার করা হয় দুই আতঙ্কবাদীকে। অবাক করার বিষয় হলো তাদের মধ্যে একজন মহম্মদ জালালুদ্দিন ঝাড়খণ্ড পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক। একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক হয়ে কিভাবে দেশ বিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত হতে পারে সেই বিষয় নিয়ে কপাল কুঁচকেছে প্রশাসনেরও। অপর অভিযুক্তের নাম আতাহার পারভেজ। সে আবার পিএফআই-এর সদস্য।
মার্শাল আর্ট শেখবার নাম করে চলত জঙ্গি প্রশিক্ষন : পাটনা পুলিশ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, দুই অভিযুক্ত মার্শাল আর্ট শেখবার নাম করে জঙ্গিদের প্রশিক্ষন দিত। এই দুই আতঙ্কবাদীকে তল্লাশি করে পিএফআই-এসডিপিআই-র বেশ কিছু গোপন কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সেই কাগজ থেকেই পুলিশ জানতে পেরেছে ২০৪৭ সালের মধ্যেই ইসলাম শাসিত রাষ্ট্র হবে ভারত। পুলিশ সূত্র মারফত আরও জানা যাচ্ছে, দুই অভিযুক্তের থেকে প্রশিক্ষন নিতে ভিন রাজ্য থেকেও আসত অনেকে। বিগত দু’মাস ধরেই ভিন রাজ্যকে প্রশিক্ষন নিতে আসার সংখ্যা অত্যাধিক বেড়ে গিয়েছিল। অন্য রাজ্য থেকে যারা আসত তারা টিকিট বুকিং এবং হোটেলে ঘর ভাড়া নেওয়ার সময় নিজেদের নাম বদলে নিত বলে জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত ২০১৭ সালেই একটি হিন্দু সংগঠন মুসলিমদের ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করার পরিকল্পনার বিষয়ে সতর্ক করে। মুসলিমদের জনসংখ্যা যেভাবে বেড়ে চলেছে, সেই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২৭ সালের মধ্যে ভারত ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে দাবি করেন হিন্দু যুব বাহিনীর নেতা নগেন্দ্র প্রতাপ তোমর। তিনি বলেন, ‘এটা মুসলিম সম্প্রদায়ের চক্রান্ত। ওরা ভারতের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায়।’ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ২০০২ সালে হিন্দু যুব বাহিনী নামে এই দল গঠন করেন।