বাংলাহান্ট ডেস্ক : মধ্য এশিয়া (Middle East) জুড়ে সংকটের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বারবার। এবার যুদ্ধের আবহ আজারবাইজান – আর্মিনিয়া সীমান্তে। মুসলিম রাষ্ট্র (Islamic Country) আজারবাইজান সামরিক সাহায্য পাচ্ছে তুরস্ক (Turkey) ও পাকিস্তানের (Pakistan) কাছ থেকে। সীমান্ত সংঘর্ষের প্রাথমিক পর্যায়ে তারা বেশ কিছুটা সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে রয়েছে বলেই দাবি করছে ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমগুলি।
আজারবাইজানের মোকাবিলা করতে এ বার খ্রিস্টান-প্রধান আর্মেনিয়া ( Armenia-Azerbaijan) এল ভারতের (India) কাছে সাহায্য চাইতে। আর্মেনিয়ার বিদেশ দফতরের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করকে জানাতে চাই যে, আর্মেনিয়ার সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত হানার চেষ্টা হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলের দখল নিয়ে ২০২০ সালে দু’দেশের যুদ্ধে প্রায় সাড়ে ছ’হাজার মানুষ নিহত হন। সে সময় মস্কোর মধ্যস্থতায় যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এ বার ইউক্রেন সমস্যায় জেরবার ভ্লাদিমির পুতিনের পক্ষে সেই ভূমিকা নেওয়া আর সম্ভব নয়। তাই ভারতই একমাত্র বিকল্প বলেই মনে করছেন কূটনীতি বিশেষজ্ঞ মহল।
সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তৈরি পিনাকা কার্গিল যুদ্ধে ভারতের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। ট্রাকের উপর বহন করা যায় ৯০ কিলোমিটার পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র সম্প্রতি লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় কাছে চিনা আগ্রাসন ঠেকাতে মোতায়েন করেছে ভারতীয় সেনা। ডিআরডিও-র তৈরি এই ‘মাল্টিপল রকেট লঞ্চার’ মাত্র ৪৪ সেকেন্ডে একসঙ্গে ৭২টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে সক্ষম। এই ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রই এবার আজারবাইজানের হামলা ঠেকাতে আর্মিনিয়া সেনার গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হতে পারে বলে মনে করেছেন অনেকে।