বাংলাহান্ট ডেস্ক : লীনা মানিমেকলাই (Leena Manimekalai)। নামটি কয়েক দিন আগেও কত জন ভারতীয় জানতেন তা হাতে গুনে বলা যেত। কিন্তু আজ ভারতে যে নামটি বহুল ব্যাবহৃত তা হল লীনা মানিমেকলাই (Leena Manimekalai)। সৌজন্যে লীনার সেই বিতর্কিত পোস্টার (Kali Controversy)। বিতর্কের জালে জড়িয়ে পড়েছেন পশ্চিমবঙ্গের সাংসদ মহুয়া মৈত্রও (Mahua Moitra)। এরই মধ্যে লীনার এক মারাত্মক ট্যুইট বিতর্ককে আরও কিছুটা উস্কে দিলো বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
একটি ট্যুইটে ভারতের বিজেপি (BJP) সরকারকে তোপ দাগলেন লীনা মানিমেকলাই। তিনি লিখলেন, ‘বিজেপির ভাড়া করা ট্রোল বাহিনী জানেই না কিভাবে থিয়েটার শিল্পীরা অভিনয়ের পর নিজেদের মধ্যে মজা করেন।’ এরই সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেন তিনি। যেখানে দেখা যাচ্ছে, একজন শিব এবং একজন পার্বতীর সাজে ধুমপান করছেন। এই ছবি নিজের ট্যুইটারে আপলোড করে তিনি লেখেন এটা আমার তথ্যচিত্রের ছবি না। গ্রাম্য ভারতে এটি খুবিই সাধারণ একটি বিষয়। সংঘ পরিবার ঘৃনা, বিদ্বেষ এবং ধর্মীয় হিংসা ছড়িয়ে এই সংস্কৃতিটাই নষ্ট করতে চাইছে। ভারত কোনও দিনই হিন্দুরাষ্ট্র (Hindu Rashtra) হবে না।’
লীনার এই ট্যুইটের তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরত্তোম মিশ্র। তিনি পাল্টা ট্যুইট করে লেখেন, ‘লীনা মানিমেকলাই-এর মতো বিকৃত মানসিকতার লোকেরা অপরের ধার্মিক ভাবনাকে আঘাত করার জন্য ট্যুইটারকে মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করছে। মধ্যপ্রদেশ সরকার চিঠি লিখে ট্যুইটারকে আবেদন করবে এই রকম উস্কানিমূলক পোস্ট যেন আর না আসে।’
লীনা পাল্টা ট্যুইট করে লেখেন, ‘এই ট্রোলাররা আমার শিল্পী স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করতে চাইছে। যদি এই দক্ষিণপন্থী বুদ্ধিহীন মাফিয়াদের ভয়ে পিছিয়ে যাই, তাহলে আমার মতো সবাইয়ের স্বাধীনতেই হস্তক্ষেপ হবে।’ লীনা আরও বলেন, ‘পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো গনতান্ত্রিক দেশ ভারত, এখন ঘৃনা-বিদ্বেষের সবচেয়ে বড় মেশিন তৈরি হয়ে গেছে। এরা আমাকে সেন্সর করতে চায়। এই মুহুর্তে আমি দুনিয়ার কোথাও সুরক্ষিত নই।’
প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত, উত্তরপ্রদেশ, অসম, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ এবং মধ্যপ্রদেশ, এই পাঁচ রাজ্যের বেশ কয়েক জায়গায় লীনা মানিমেকলাই-এর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে বলে খবর।