বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সারা বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও(india) থাবা বসিয়েছে মারন ব্যাধি করোনা ভাইরাস। সারা পৃথিবীর মত এই মুহুর্তে ভারতের অর্থনীতিও বিপর্যস্ত। কিন্তু কৃষিপ্রধান দেশ হওয়ার পাশাপাশি সরকারের দূরদর্শী চিন্তার কারনে ভারতের অর্থনৈতিক সংকট সেভাবে ভোগাবে না। বরং অন্যদেশ গুলির অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে না উঠতে পারার কারনে অদূরে ভারতই হয়ে উঠতে পারে তামাম বিশ্বের অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপের নিয়ন্ত্রক। এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
শুক্রবার বণিকসভা ভারত চেম্বার অফ কমার্স আয়োজিত একটি বিশেষ অনলাইন আলোচনা চক্রে শিল্প-বাণিজ্য ও রেলমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল বলেন, দেশ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করার জন্য ইতি মধ্যেই শিল্প নীতিতে পরিবর্তন এনেছে। এই আলোচনায় করোনার কারনে শিল্পপতিরা বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন সে কথা নিয়েও আলোচনা হয়। এই ব্যাপারেও শিল্পপতিদের আশ্বস্ত করেছে সরকার।
প্রসঙ্গত, এর আগে চীনের আগ্রাসী বাণিজ্য নীতি থেকে দেশীয় শিল্পকে বাঁচাতে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ বা এফডিআই নীতিতে বড়সড় রদবদল এনেছে মোদি সরকার।
সীমান্ত লাগোয়া কোনো দেশ থেকে ভারতে আর সরাসরি বিনিয়োগ করা যাবে না। এবার থেকে যে কোনো প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে বিনিয়োগ করতে গেলেই লাগবে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি। বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রক। জানা যাচ্ছে চীনকে ঠেকাতেই এই নীতি প্রণয়ন করতে বাধ্য হল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।
করোনা ভাইরাসের কারনে ইতিমধ্যে স্তব্ধ গোটা দেশ। প্রতিদিনই কমছে বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারের দাম। এই পরিস্থিতিতে বিদেশের বিভিন্ন সংস্থা কম দামে সেই সব শেয়ার কিনে ও লগ্নি করে ভারতের বাজার দখল করতে চাইছে। ইতিমধ্যেই, এইডিএফসি ব্যাঙ্কের প্রচুর টাকার শেয়ার কিনে নিয়েছেন চিনের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক বা পিপিলস ব্যাঙ্ক অব চায়না। এই বিপুল বিনিয়োগের ফলে এইডিএফসি এর ১ শতাংশের বেশি মালিকানা এখন চিনের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক বা পিপিলস ব্যাঙ্ক অব চায়নার হাতে। যার জেরে সমালোচনায় বিদ্ধ হতে হয়েছে মোদি সরকারকে।
এর আগে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের জন্য এই নিয়ম চালু থাকলেও। এবার যে কোনো প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে বিনিয়োগ করতে গেলেই লাগবে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি বলে জানানো হয়েছে।