বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লর্ড টেস্টের চতুর্থ দিনে কার্যত অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিল টিম ইন্ডিয়া। ছ ছটি উইকেট হারিয়ে ১৮১ রানে দিন শেষ করেছিল বিরাট বাহিনী। ভরসা ছিলেন একমাত্র পান্থ। কিন্তু শুরুতেই আজ সেই পান্থকেও ফিরিয়ে দেন রবিনসন। যার জেরে ফের একবার মারাত্মক চাপে পড়ে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। তবে এদিন ভারতের নতুন ত্রাতা হিসেবে উঠে আসেন মহম্মদ শামি এবং জসপ্রীত বুমরা। কার্যত ইংল্যান্ডের খেলা নিজের সাত বছর আগেকার ইনিংস মনে করিয়ে দেন শামি।
শেষ পর্যন্ত এই দুই ফাস্ট বোলারের কাঁধে ভর করে ফের একবার ম্যাচে দুর্দান্ত কামব্যাক করে ভারতীয় দল। তাদের ৯০ রানের পার্টনারশিপের দৌলতেই ইংল্যান্ডের সামনে জয়ের জন্য ২৭২ রানের লক্ষ্য রাখে টিম ইন্ডিয়া। একদিকে যেমন ছয় চারের বন্যা বইয়ে ৫৬ রানে নট আউট থাকেন শামি। অন্যদিকে অপরাজিত ৩৪ রানের যোগদান রাখেন বুমরা। সবমিলিয়ে ২৯৮ রানে ডিক্লেয়ার করে ভারতীয় দল।
ব্যাট করতে নেমে আজ শুরু থেকেই চাপের মুখে ছিল ইংল্যান্ড। বার্ন্স বা সিবলী কোন ওপেনারকেই খাতা খুলতে দেননি বুমরা এবং শামি। এরপর অবশ্য হামিদ সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন রুট। কিন্তু ৯ রানের মাথাতেই ঈশান্ত শর্মার বলে অধিনায়কের সঙ্গে ছাড়েন হামিদ। ইংল্যান্ডকে ফের একবার বড় ধাক্কা দিয়ে বেয়ারস্টোকেও ঘরে ফেরান ঈশান্তই। কার্যত ক্রিজে একা হয়ে পড়ছিলেন জো রুট। শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত ৩৩ রানের মাথায় বুমরার ফাঁদে পা দিয়ে কোহলির হাতে বন্দী হন তিনিও। যার জেরে নিশ্চিত ড্র থেকে এবার জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে কোহলি বাহিনী।
মঈন কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন বটে, কিন্তু পরপর মঈন আলী এবং স্যাম কুর্যানকে ফিরিয়ে সেই আশায় জল ঢেলে দেন সিরাজ। বাটালারের সঙ্গ দিতে শুধুমাত্র ছিলেন টেল এন্ডাররাই। কিন্তু এরই মাঝে একবার বাটলারকে জীবনদানও দেন কোহলি। আর তারপর থেকেই কার্যত ক্রিজে তাঁবু গেড়ে বসেন বাটলার। সাথে টেলেন্ডার রবিনসনকে নিয়েই লড়াই চালিয়ে যান তিনি।
অবশেষে ৩৫ বল টিকে থাকা রবিনসনকে ফিরিয়ে ভারতকে ম্যাচে ফেরান ইয়ার্কার কিং বুমরা। কার্যত এক দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটান তিনি। জয়ের জন্য দরকার ছিল আর মাত্র দুটি উইকেট। ঠিক তার পরের ওভারেই ৯৬ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলে ভারতের জয়ের মাঝে দেওয়াল তৈরি করা বাটলারকে ফিরিয়ে কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দান সিরাজ। একই ওভারে আন্ডারসনকেও বোল্ড করে তিনিই। ফলে মাত্র ১২০ রানেই শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। লর্ডসে ১৫১ রানে জয় তুলে নিয়ে সিরিজে ১-০ লিড নিয়ে এগিয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া। ভারতের হয়ে আজ সর্বোচ্চ চারটি উইকেট তুলে নেন সিরাজ। তিনটি উইকেট পান বুমরা।
‘পান্ডিত্য করলেই রাজনৈতিকভাবে…’ সোহমের মন্তব্য ঘিরে তৃণমূলে বিরাট হইচই