বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিশ্বকাপের পরবর্তী পর্যায়ে পৌঁছানোর আশা আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে ভারতের। তাই সোমবারের ম্যাচ বিরাট বাহিনীর কাছে নিয়ম রক্ষা ছাড়া আর কিছুই ছিল না। তবে গত ম্যাচের পর এই ম্যাচে ফের একবার এই ম্যাচে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। প্রত্যাশা মতই বুমরাহ, রবীচন্দ্রন অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাদেজার মুহুর্মুহু আক্রমণের সামনে সেভাবে রুখে দাঁড়াতে পারেনি নামিবিয়া।
যদিও শুরুতেই এদিন ৩৩ রানের জুটি গড়েছিলেন ব্র্যাড (২১) এবং ভ্যান লিগেন (১৪)। কিন্তু লিগেন বুমরাহর শিকার হতেই ধ্বসের মুখে পড়ে নামিবিয়ার মিডল অর্ডার। ক্যাপ্টেন ইরাসমাস, উইলিয়ামস, এটোন টিভিএস ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি। নামিবিয়ার মিডল অর্ডারকে মূলত ফের একবার একা হাতে শেষ করে দেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন। ২৬ রানের ইনিংস খেলে ডেভিড কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন ঠিকই কিন্তু বুমরাহের আক্রমণের সামনে পরে ইনিংস বেশি বড় করতে পারেননি তিনিও। ফলত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে এদিন ১৩২ রানেই শেষ হয়ে যায় নামিবিয়া।
ভারতের হয়ে একদিকে যেমন মাত্র ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন অশ্বিন, তেমনি ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন জাদেজা। এছাড়া ১৯ রান খরচ করে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন বুমরাহ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে স্বাভাবিকভাবেই এই সহজ টার্গেট তাড়া করতে কোন অসুবিধাই হয়নি ভারতের।
https://twitter.com/BCCI/status/1457747262268796945?t=cwy38pfqfUH_k979mqApMw&s=19
ওপেনিংয়েই আজও ৮৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়লেন রোহিত এবং রাহুল। একইসঙ্গে আজ এই ম্যাচে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তিন হাজার রানও পূরণ করেন রোহিত। যদিও আজ ম্যাচ শেষ করে যেতে পারেননি হিটম্যান। মাত্র ৩৭ বলে সাতটি চার ও দুটি ছয় দিয়ে সাজানো ৫৬ রানের ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত সাজঘরে ফেরেন তিনি। তবে নিজের দায়িত্ব সুন্দরভাবে পালন করেন রোহিত এবং সূর্য। সূর্যর ২৫ এবং রাহুলের ৩৬ বলে ৫৪ রানের ইনিংসের দৌলতে ২৮ বল বাকি থাকতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ভারত।