বাংলা হান্ট ডেস্ক : অসাধ্য সাধন ভারতীয় বিমান বাহিনীর (Indian Air Force)। আলো ছাড়াই বিমান অবতরণ করাল বায়ুসেনার পাইলট। সুদান থেকে ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফেরাতে চালু হয়েছে ‘অপারেশন কাবেরী’ (Operation Kaveri)। ভারতীয় বায়ুসেনা এবং নৌসেনা এই অপারেশনে অংশ নিচ্ছে। নৌবাহিনী পোর্ট সুদান থেকে রণতরী করে ভারতীয়দের সুদান (Sudan) থেকে বের করে আনছে। এদিকে বায়ুসেনার তরফে মোতায়েন করা হয়েছে সি-১৩০জে বিমান।
এই বিমানে করেই গত ২৭ এপ্রিল মধ্যরাতে সুদান থেকে ১২১ জনকে নিয়ে টেকঅফ করে ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলটরা। তবে যে এয়ারস্ট্রিপ থেকে তারা টেকঅফ করেছেন, তাতে না ছিল আলো, না ছিল অন্য কোনও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। শুধু তাই নয়, রানওয়েতে ছিল গর্ত ও খানাখন্দ। এরই মধ্যে শুধুমাত্র নাইটভিশন চশমা পরে কৌশলে সেই বিমানটি অবতরণ করান বায়ুসেনার পাইলটরা। সেই দৃশ্য সামনে আসতেই বায়ুসেনা পাইলটদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সব মহল।
সুদানের রাজধানী খারতুম থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত ওয়াদী সাইয়িদনা থেকে ১২১ জন ভারতীয়কে নিয়ে টেকঅফ করেছিল বায়ুসেনার সি-১৩০জে বিমান। এই এয়ারস্ট্রিপে কোনও আলোর ব্যবস্থা ছিল না। জ্বালানি ভরার কোনও ব্যবস্থাও ছিল না। রানওয়ে পুরোপুরি মসৃণও ছিল না। তবে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নাইটভিশন চশমার সাহায্যে নিরাপদে বিমানটিকে ওড়ান বায়ুসেনার পাইলটরা।
এর আগে সেই এয়ারস্ট্রিপে অবতরণের সময়ও সমস্যায় পড়তে হয় বিমানটিকে। আলো না থাকায় বিমানের অবতরণ খুবই বিপজ্জনক ছিল। এই বিষয়ে বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়, বিমানটি এয়ারস্ট্রিপের কাছাকাছি আসতেই ইনফ্রা রেড সেন্সর ব্যবহার করেন পাইলটরা। তা থেকেই তারা বুঝতে পারেন যে রানওয়েতে কোনও বাধা রয়েছে কিনা। বিমানবাহিনীর তরফে জানানো হয়, টেকঅফের থেকে স্বভাবতই বিমানের অবতরণ বেশি বিপজ্জনক এবং কঠিন ছিল এখানে।
বায়ুসেনা এই অপারেশনের বিষয়ে জানায় হয়, অবতরণের পর বিমানের ইঞ্জিন বন্ধ করা হয়নি। বিমান থেকে ৮ জন গার্ড বেরিয়ে ভারতীয়দের বিমানে উঠতে সাহায্য করেন এবং তাদের সামগ্রীও বিমানে তুলে দেন। এরপর ১২১ জনকে নিয়ে সেখান থেকে উড়ে সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশে রওনা দেয় বিমানটি। এই গোটা অপারেশনের জন্য আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে। উদ্ধারকৃত ভারতীয়দের মধ্যে একজন গর্ভবতী নারী রয়েছেন বলে জানিয়েছে বায়ুসেনা।