বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমানে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force) একটি নতুন মিশনে ব্যস্ত রয়েছে। মূলত, বিমান বাহিনী তাদের সামরিক মহড়ার নাম দিয়েছে গগন শক্তি-২০২৪। ১০ দিনের এই মহড়ায় দেশের প্রতিটি বায়ুসেনা স্টেশন একে একে অংশ নিচ্ছে এবং তাদের শক্তি প্রদর্শন করছে। এই ক্যাম্পেইনটি গত ১ এপ্রিল ২০২৪ থেকে শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে, পোখরানে অবস্থিত ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে মহড়ার আয়োজন করা হয়েছিল। উল্লেখ্য যে, গগন শক্তি-২০২৪ নামের এই মহড়ায় প্রায় ১১ হাজার বায়ুসেনা অংশ নিচ্ছেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুসারে, পশ্চিম ও উত্তর ক্ষেত্র উভয়ই এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পাশাপাশি, এখানে চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি পরীক্ষা করা হচ্ছে।
মহড়ায় সামিল যুদ্ধবিমান: এই মহড়ায় থাকা ফাইটার প্লেন এবং হেলিকপ্টারগুলি হল তেজস, রাফালে, সুখোই-৩০, জাগুয়ার, মিরাজ ২০০০, চিনুক, অ্যাপাচি, প্রচন্ড ইত্যাদি। এছাড়াও, বিমান বাহিনীর পরিবহণ বিমান গ্লোবমাস্টার, C-130J সুপার হারকিউলিস, C-295-এর পারফরম্যান্সও এখানে দেখা যাবে। গগনশক্তিতে বিমান বাহিনী বায়ুতে গুলি চালানোর ক্ষমতাও প্রদর্শন করবে।
গগন শক্তি-২০২৪ এর অধীনে, বিমান বাহিনী উত্তর ও পশ্চিম ক্ষেত্রের সাথে যৌথভাবে বিভিন্ন অংশে মহড়া চালাচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে, জম্মু ও কাশ্মীর, চণ্ডীগড়, আম্বালা, রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশের সামরিক বিমান বাহিনীকে বিভিন্ন দিনে এবং সময়ে ব্যবহার করা হবে। বর্তমানে, গগনশক্তি মহড়ায়, ভারতীয় বিমান বাহিনী উত্তরপ্রদেশের এবং জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় অবতরণ এবং টেক-অফের মহড়া সহ বিমান অপারেশন পরিচালনা করছে।
আরও পড়ুন: অজান্তেই দাদুর কেনা SBI-এর শেয়ারে ৩০ বছর পর মালামাল হলেন নাতি, ৫০০ টাকা পৌঁছে গেল….
৭ এপ্রিল লখনউয়ের কাছে দ্বিতীয় অপারেশন: ভারতীয় বায়ুসেনার এই অপারেশনের অন্যতম উদ্দেশ্য হল প্রয়োজনের সময়ে হাইওয়েকে কাছে লাগানো। গগনশক্তি অনুশীলনের জন্য হাইওয়ে ল্যান্ডিং এবং টেকঅফ অপারেশনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এদিকে, দ্বিতীয় অপারেশনটি ৭ এপ্রিল লখনউয়ের কাছে হবে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় ক্রিকেটে এমন নজির নেই কারোর! মাঠে নেমেই “বিরাট” রেকর্ড গড়লেন কোহলি
উল্লেখ্য যে, ভারতীয় বায়ুসেনার সহযোগিতায় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক বিশেষ রানওয়ে তৈরি করেছে। ডিভাইডার ছাড়া রাস্তায় প্যাচও রয়েছে। এগুলি বিশেষ রানওয়ে প্যাচ, যেখানে রাস্তার উভয় পাশে বিমান চালানোর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। জরুরি অবতরণ ও টেক-অফ অপারেশনের জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সহজ হবে। এর মধ্যে এয়ারস্ট্রিপও রয়েছে। যেখানে শুধুমাত্র হেলিকপ্টারই কাজ করতে পারে।