বাংলাহান্ট ডেস্ক : নতুন মাইলফলক অতিক্রম করলে ভারতীয় সেনাবাহিনী (Indian Army)। দূরনিয়ন্ত্রিত ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ড্রোনের পরীক্ষা সফল হয়েছে ভারতীয় সেনার। আর এর সঙ্গে সঙ্গেই ড্রোন যুদ্ধের ক্ষেত্রে নতুন যুগে পদার্পণ করল দেশ। ডিআরডিওর সঙ্গে মিলে এই ড্রোন তৈরি করেছে ভারতীয় সেনা। এই ড্রোনে রাখা থাকছে ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী অস্ত্র, যা ট্যাঙ্কের উপরে আঘাত করলেই বিস্ফোরণ ঘটে ধ্বংস হবে ট্যাঙ্ক।
পরীক্ষা সফল হল ভারতীয় সেনার (Indian Army) ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ড্রোনের
সম্প্রতি পঞ্জাবের পাঠানকোটে সেনার ফ্লিয়োর ডি লিস ব্রিগেডে এই ট্যাঙ্ক ধ্বংসকারী ড্রোনের সফল উৎক্ষেপণ হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে বানানো এই ড্রোনের দেহের গঠনের মান, বিভিন্ন যন্ত্রাংশের সমন্বয় এবং পরিবর্তনের উপরে নিয়ন্ত্রণ রয়েছে সেনাবাহিনীর (Indian Army)। এই ড্রোন পরিচালনা করা খুবই সহজ।
কী কী বিশেষত্ব রয়েছে: সেনার (Indian Army) তরফে জানানো হয়েছে, এই ড্রোন তৈরি হয়েছে রাইজিং স্টার ড্রোন ব্যাটল স্কুলে। উল্লেখ্য, এই সংস্থা চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত প্রায় ১০০ টিরও বেশি ড্রোন তৈরি করেছে। আরো জানা গিয়েছে, ড্রোনে থাকা অস্ত্র ব্যবহার করার ক্ষেত্রে দ্বিস্তরীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকছে। এর ফলে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতেই ব্যবহার করা যাবে ড্রোনে থাকা অস্ত্র। শুধুমাত্র ড্রোনের চালকের কাছেই রেডিও কন্ট্রোলের মাধ্যমে ওই অস্ত্র ব্যবহার করার সুযোগ থাকবে।
আরো পড়ুন : ৯ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ, চিটফান্ড কাণ্ডে অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন শ্রেয়স
ড্রোন থাকবে চালকের নিয়ন্ত্রণে: ড্রোনে যে অস্ত্র রয়েছে তার পরিস্থিতি সম্পর্কেও সবসময় অবহিত থাকবে ড্রোন চালক। এর ফলে পরিস্থিতি বিবেচনা করে অস্ত্র ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন ড্রোন চালক। উল্লেখ্য, ২০২১ সাল থেকেই ভারতীয় সেনায় (Indian Army) ড্রোন নিয়ে নাড়াঘাঁটা শুরু হয়েছিল।
আরো পড়ুন : প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই প্রথম! ১২ বছর পর RSS -এর সদর দফতরে নরেন্দ্র মোদী, তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা
ওই বছরই জুন মাসে পাক মদতে জঙ্গিরা ড্রোনের সাহায্যে জম্মুতে ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটিতে বিষ্ফোরণ ঘটিয়েছিল। ওই ঘটনার পরেই ভারত সরকারও নড়েচড়ে বসে ড্রোনের বিষয়ে। দেশীয় পদ্ধতিতে ড্রোন তৈরি এবং ড্রোন বিধ্বংসী ব্যবস্থা মোতায়েনে কড়াকড়ি শুরু হয় তখন থেকেই।