বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতীয় সেনা (Indian Army) জবাবি ফায়ারিংয়ে পাকিস্তান (Pakistan) সীমান্তে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। যদিও এরপরেও নিজেদের কুকীর্তি থামাচ্ছে না পাকিস্তান। জম্মু কাশ্মীরের মনকোট সেক্টরে পাকিস্তানি সেনা আজ সন্ধ্যে ৭ঃ৩০ নাগাদ যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘন করে। পাকিস্তানি সেনার ফায়ারিংয়ের যোগ্য জবাব দেয় ভারতীয় সেনা।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ভারতীয় সেনার জবাবি পদক্ষেপে পাকিস্তানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ডজন খানেক পাক সেনা ছাউনি উড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় জওয়ানরা এছাড়াও বেশ কয়েকজন পাক সেনা আহত এবং মারা গেছে বলে জানা যাচ্ছে।
কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা লাগাতার জঙ্গি এবং পাকিস্তানের কুকীর্তির যোগ্য জবাব দিচ্ছে। এই লকডাউনে এখনো পর্যন্ত ভারতীয় সেনা এনকাউন্টারে কাশ্মীরে প্রায় ৭০ জন জঙ্গি খতম হয়েছে। বিগত চারদিনেই কাশ্মীরে ১২ জঙ্গিকে খতক করেছে সেনা।
এছাড়াও আজ জম্মু কাশ্মীরে লস্করের বড়সড় জঙ্গি মডিউলের পর্দাফাঁস হয়েছে। লস্করের তিন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে তাদের কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকার ড্রাগ এবং ১ কোটির উপরে নগদ টাকা উদ্ধার করেছে কাশ্মীর পুলিশ। আজ কাশ্মীর পুলিশের এই অভিযানের পর উপত্যকায় জঙ্গিদের বড়সড় ঝটকা লেগেছে। কারণ জঙ্গিরা এই টাকা দিয়েই জঙ্গি কার্যকলাপ চালাত। পুলিশ বয়ান জারি করে জানিয়েছে যে, গোপন সূত্রে উপত্যকায় পাকিস্তান প্রযোজিত নার্কো-টেরর মডিউলের খবর পাওয়া যায়। এরপর পুলিশ ঘাঁত লাগিয়ে জঙ্গি সংগঠন লস্করের তিন জঙ্গি সমর্থককে গ্রেফতার করে।
Handwara Police (J&K) today busted a huge Pakistan sponsored narco-terror module. 3 Lashkar-e-Taiba terror associates were arrested, they were in touch with Pak handlers. 21 kg heroin, Indian currency with the value of Rs 1.34 Crores seized: SP Handwara Dr GV Sundeep Chakravarthy pic.twitter.com/4iMSdOCbTG
— ANI (@ANI) June 11, 2020
এসপি হান্ডওয়ারা জম্মু কাশ্মীর পুলিশের জীবী সন্দীপ চক্রবর্তী বলেন, ‘হান্ডওয়ারা পুলিশ পাকিস্তান প্রযোজিত নার্কো টেরর মডিউলের পর্দাফাঁস করেছে। আমরা তিন লস্কর জঙ্গি সমর্থককে গ্রেফতার করেছি। জঙ্গিদের কাছ থেকে ২১ কেজি ড্রাগ উদ্ধার করা হয়েছে, যার দাম আনুমানিক ১০০ কোটি টাকা। এছাড়াও ১ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়েছে।”
পুলিশ গ্রেফতার করা লস্করের জঙ্গিদের পরিচয় আবদুল মোমিন পীর, ইসলাম উল হোক পীর আর সৈয়দ ইফতিখার আন্দ্রাবী বলে জানিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে যে, এই ঘটনায় এখনো কয়েকজন পলাতক যাঁদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।
এসপি জীবী সন্দীপ বলেন, ‘এরা এই টাকা দিয়ে জঙ্গিদের সাহায্য করত। ড্রাগ ডিলার আর জঙ্গিদের গোপন সম্পর্ক সামনে এসেছে। এটি একটি বড়সড় হাবালা র্যাকেট। মুখ্য অভিযুক্ত ইফতিখার আন্দ্রাবীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”