বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দেশের জন্য প্রাণ বিসর্জন। কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Terror Attack) আবহেই উধমপুরে জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারান বাংলার ঝন্টু আলি শেখ (Jhantu Ali Sheikh)। নদিয়ার তেহট্টের পাথরঘাটা গ্রামে বাড়ি তাঁর। শনিবার কফিনবন্দি হয়ে সেখানেই ফিরল ঝন্টুর দেহ। ১৪ বছর ধরে সেনাবাহিনীতে (Indian Army) কর্মরত ছিলেন, জঙ্গিদের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতেই প্রাণ বিসর্জন দিলেন তিনি।
ভাইয়ের আত্মত্যাগে গর্বিত ঝন্টুর (Jhantu Ali Sheikh) দাদা!
৬ প্যারা স্পেশ্যাল ফোর্সে কর্মরত ছিলেন ঝন্টু। তাঁর দাদা রফিকুল শেখ এবং বৌদি অনিন্দিতা শেখও সেনাবাহিনীতে কর্মরত। দু’জনেরই পোস্টিং কাশ্মীরে। বৃহস্পতিবার অনিন্দিতাই বাড়িতে ফোন করে ঝন্টুর মৃত্যুর খবর দিয়েছিলেন। শত্রুদের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে ভাইয়ের এই আত্মত্যাগে গর্বিত দাদা রফিকুল।
জানা যাচ্ছে, ঝন্টুর দাদা আর্টিলারি রেজিমেন্টের সুবেদার। বিগত প্রায় এক বছর ধরে ‘ভূস্বর্গে’ (Kashmir) পোস্টিং রফিকুলের। ২৮ বছর ধরে সেনাবাহিনীতে কর্মরত তিনি। অন্যদিকে গত ১৪ বছর ধরে সেনাবাহিনীতে ছিলেন সদ্য প্রয়াত ঝন্টু।
আরও পড়ুনঃ হিন্দু নয়, কাশ্মীরে নিহতদের মধ্যে ১৫ জনই মুসলিম! তোলপাড় করা দাবি কংগ্রেস নেতার
এদিন ব্যারাকপুরে ভোর পাঁচটা নাগাদ কাশ্মীরে নিহত ঝন্টুকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। এরপর নদিয়ার তেহট্টের বাড়িতে কফিনবন্দি নিথর দেহ নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে মাত্র চার কিমি দূরত্বে ঝন্টুর (Jhantu Ali Sheikh) বাড়ি। ছোট থেকেই সীমান্তে বন্দুক হাতে জওয়ানদের দেখেছেন তিনি। তখন থেকেই জওয়ান হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। বড় হয়ে সেই স্বপ্ন পূরণও হয়েছিল। প্রায় দেড় দশক সেনাবাহিনীতে কর্মরত থাকার পর জঙ্গিদের সঙ্গে এনকাউন্টারে প্রাণ হারান তিনি।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানা হয়। ‘মিনি সুইজারল্যান্ড’ বৈসরণে ২৬ জনকে খুন করে জঙ্গিরা। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই উধমপুরে জঙ্গিদের সঙ্গে এনকাউন্টারে প্রাণ যায় বাংলার ঝন্টুর। এদিন কফিনবন্দি হয়ে বাড়ি ফিরল তাঁর নিথর দেহ।