দেশের সেবায় নিজের পুরো জীবন নিয়োজিত করার পর ভারতীয় সেনার এক রিটায়ার্ড ফৌজি তার গ্রামের লোকেদের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে পাঁচ লাখ টাকা দান দিয়েছেন। রিটায়ার্ড ফৌজির পক্ষ থেকে দেওয়া এই উপহার গ্রামের লোকেদের অনতিক্রম্য পাহাড়ের উপর ৮০০ মিটার কাঁচা রাস্তা পেয়ে যান। গ্রামের বিকাশের জন্য দেশের এক সৈন্যের পদক্ষেপের প্রশংসা সব জায়গায় হচ্ছে। যদিও বর্ষাকালে ওই কাঁচা রাস্তা বার বার নষ্ট হয়ে যায়। বর্ষায় রাস্তা পুনরায় ঠিক করার জন্য উনি ৭৫ হাজার টাকা দান দিয়েছিলেন। জনদরদী এই সৈনিকের নাম সরদারী লাল।হিমাচল প্রদেশের কাংড়া জেলার বৈজনাথ উপমণ্ডলের মাঝেডা পঞ্চায়েতর লুগোট গ্রামের ফৌজি সরদারী লাল গ্রামের লোকেদের সম্যসাকে দেখে এত বড় পদক্ষেপ নেন।
লুগোট গ্রামে মোটামুটি ৩০টি পরিবার থাকে। কিন্তু এখনো অব্দি দেশ ও পৃথিবীর সঙ্গে এই গ্রাম যেন অযুক্ত। অবাক হওয়ার বিষয় এই গ্রামের লোকেদের এখনো রাস্তা জোটেনি । গ্রাম অব্দি রাস্তা না হওয়ার কারণে মুখ্য রাস্তা অব্দি পৌঁছানোর জন্য পাহাড়ের সাহায্যে নিতে হয়। যদি কোনো রোগীকে হাসপাতাল নিয়ে যেতে হয় তবে তাকে পালকি করে হাসপাতাল পৌঁছানো হয়। বর্ষার সময় এখানের লোকেদের অনেক মুশকিলের সম্মুখীন হতে হয়।গ্রামের লোকেদের এই সমস্যা সরদারী লাল সহ্য করতে না পেরে তিনি রাস্তা নির্মাণের জন্য ৫ লাখ টাকা দানে দিয়ে দেন। মুখ্য রাস্তা অব্দি যুক্ত করার জন্য গোটা গ্রামের লোকেরা পরিশ্রম করে এবং শেষমেষ গ্রামের লোকেরা মুখ্য রাস্তা অব্দি কাঁচা রাস্তা পেয়ে যায়। কিন্তু গ্রামের লোকেদের বেশিদিন অব্দি রাস্তার সুখ জোটে না। বর্ষার কারনে রাস্তা আবার খারাপ হয়ে যায়। সরকারী লাল জানিয়েছে যে তারা প্রশাসনের কাছে অনেক দিন ধরে রাস্তা বানানোর দাবি করছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত রাস্তা তৈরি করা হয়নি।
গ্রামের লোকেদের রাস্তা প্রাপ্ত করানোর জন্য সরকারী লালের পক্ষ থেকে দেওয়া টাকা দিয়ে ৮০০ মিটারের কাঁচা রাস্তা তৈরি হয়ে যায়।এই কাঁচা রাস্তা দিয়ে মোটামুটি জীপ তো যেতেই পারবে। রাস্তা তৈরি হওয়ায় গ্রামের ৩০টি পরিবারের আসা যাওয়ায় অনেক সুবিধা হয়ে গেছিল। কিন্তু প্রচন্ড বর্ষার কারনে রাস্তা পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যায়। উনি জানান যে এবার রাস্তার দিকে প্রশাসনের নজর গিয়েছে এবং সরকারের পক্ষ দিয়ে ৫ লাখ টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। শুধু তাই নয় যাতে তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করা যেতে পারে সরকারী লাল নিজের পকেট দিয়েও ৭৫ হাজার টাকা BDO লংবাগভ এর কার্যালয়তে জমা করে দিয়েছেন। এই টাকাটি তিনি রাস্তা পূর্নগঠনের জন্য দিয়েছেন।