বাংলাহান্ট ডেস্ক : সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে বদ্ধপরিকর ভারত। সেই কারণেই এবার ভারতীয় সেনার (Indian Army) সঙ্গী হচ্ছে কুকুরাও। ইতিমধ্যেই রাজস্থানে জোরকদমে কুকুরদের স্পেশ্যাল ক্লাস চলছে। এরপর ট্রেনিং কমপ্লিট হলেই বসতে হবে পরীক্ষায়। আর সেই টেস্টে পাস করলেই সীমান্তে এক্কেবারে সারমেয়দের চাকরি রেডি, কাজ করবে বিএসএফদের (Border Security Force) সঙ্গে।
সীমান্তে ভারতীয় সেনার (Indian Army) সঙ্গী এবার কুকুরাও
ভারতীয় সেনাকে (Indian Army) সাহায্য করার জন্য বহুকাল ধরেই অবশ্য কুকুরদেরকে (Dog) আলাদাভাবে প্রশিক্ষণ (Training) দেওয়া হয়। আসলে বহু সময় দেখা গিয়েছে বিস্ফোরক বা অন্যান্য সন্দেহজনক জিনিস খুঁজে বার করতে দুর্দান্ত কাজ করে কুকুররা। পুলিশ কিংবা সেনাবাহিনীতে (Indian Army) স্নিফার ডগদেরকে যে ভীষণ ব্যবহার রয়েছে একথা তো বলাই বাহুল্য।
এককথায় বলা যায়, কুকুরদের বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তীব্র ঘ্রাণশক্তি এবং সেই সঙ্গে মানুষের নির্দেশ বোঝার ক্ষমতাকেই আসলে কাজে লাগানো হয় এই ক্ষেত্রে। এখন রাজস্থানের বিকানিরেও কুকুরদের এই বিশেষ দক্ষতাটিতেই আলাদাভাবে শান দেওয়া হচ্ছে। রাজস্থানের (Rajasthan) বিকানীর রেঞ্জের বিএসএফ ডিআইজি অজয় লুথরা এই বিষয়ে সংবাদ সংস্থার সামনে মুখ খুলেছেন।
আরোও পড়ুন : চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে স্টেডিয়ামের অসম্পূর্ণ কাজ নিয়ে সাফাই দিল পাকিস্তান! করে ফেলল বিরাট দাবি
তিনি জানিয়েছেন যে, অতীতেও মধ্যপ্রদেশে বিএসএফের বিশেষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিল। সেখানেই কুকুরদের এই ধরনের ট্রেনিং দেওয়া হত। কিন্তু বর্তমানে চাহিদা এবং প্রয়োজনীতা বাড়ায় এই ধরনের ট্রেনিং সেন্টার খোলা হলো রাজস্থানের বিকানীরেও। যেখান থেকে এখনও অবধি কুড়িটি বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর বিএসএফের জওয়ানদের সঙ্গে বিশেষ ভাবে সীমান্ত সুরক্ষার কাজ করছে।
শুধু তাই নয়, বিকানীরে সারমেয়দের এই বিশেষ ট্রেনিং সেন্টারে আরও ৩২ টি কুকুরের ট্রেনিং চলছে। তার কথায়, আগে থেকে বিএসএফে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সারমেয়দের ব্যবহার থাকলেও এই প্রথম সীমান্ত সুরক্ষাতে বিশেষভাবে ট্রেনিং দিয়ে প্রশিক্ষিত কুকুরের ব্যবহার ব্যাপকভাবে শুরু হতে চলেছে। ফলে একদিকে যেরকম নজরদারি বাড়বে, সেই সঙ্গে মানুষের চোখ এড়িয়ে যায় এমন বিষয়গুলোতেও কার্যত নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা যাবে।
আরোও পড়ুন : ক্রমশ শোচনীয় হচ্ছে পরিস্থিতি! হুড়মুড়িয়ে পড়ল বাংলাদেশের টাকার দাম, ভারতের সাথে বাড়ল ব্যবধান
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, আপাতত এই প্রশিক্ষিত কুকুরদের ব্যবহার ভারত পাকিস্তান সীমান্তে করা হলেও ভবিষ্যতে সারা ভারতের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকাতেই এই ধরনের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রচুর কুকুরদেরকে নিয়োগ করা হবে। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশেষ করে ভারত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকা যেখানে অনেক অংশেই কাঁটাতারের বেড়া নেই, সেখানেও অনুপ্রবেশ রুখতে এই ধরনের সারমেয়দের ব্যবহার খুবই উপযোগী হবে।