বাংলাহান্ট ডেস্ক : সম্প্রতি ছিল ৭৭ তম ইন্ডিয়ান আর্মি ডে (Indian Army), আর এই বিশেষ দিনেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে পর্যটন মন্ত্রকের সহযোগিতায় সূচনা হল ভারত রণভূমি দর্শন প্রকল্পের। ১৯৭১ সালের ভারত পাক যুদ্ধ খ্যাত লোঙ্গেওয়ালা অত্যন্ত পরিচিত একটি পর্যটন কেন্দ্র জয়সলমের পর্যটকদের কাছে।
ভারতীয় সেনার (Indian Army) অভিনব উদ্যোগ
১৯৭১ সালে ভারত (India) ও পাকিস্তানের যুদ্ধে ভারতীয় সৈনিকদের আত্মত্যাগের ঘটনাবলী তথ্যচিত্রের মাধ্যমে দেখানোর সুব্যবস্থাও রয়েছে লোঙ্গেওয়ালায়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) তরফ থেকে রয়েছে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের স্মারক বিক্রির ব্যবস্থাও। লোঙ্গেওয়ালার মতো এবার পর্যটকরা দর্শন করার সুযোগ পাবেন সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র দুর্গম সিয়াচেন অথবা লাদাখের গালওয়ানও।
ইন্ডিয়া টুডে-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত সরকারের তরফে পর্যটকদের জন্য সিয়াচেন বা লাদাখের গালওয়ানের মতো যুদ্ধক্ষেত্রগুলি দেখার ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে। রণভূমি দর্শন প্রকল্পের অধীনে পর্যটকরা এবার থেকে ঘুরে দেখতে পারেন দুর্গম এই যুদ্ধক্ষেত্রগুলি। ৭৭ তম আর্মি ডে’র দিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে সূচনা করা হয় রণভূমি দর্শন প্রকল্পের।
আরোও পড়ুন : সর্বনাশ! টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে যাবে ভারত? চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনলেন গবেষকরা
যুদ্ধক্ষেত্রগুলি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার পিছনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের রয়েছে একাধিক উদ্দেশ্য। এই ধরনের আন্তর্জাতিক সীমানা ও যুদ্ধক্ষেত্রগুলি উন্মুক্ত করে দিয়ে পর্যটকেরা (Tourist) একদিকে যেমন ইতিহাসকে চাক্ষুষ করতে পারবেন, ঠিক তেমনই ভারতীয়দের মধ্যে উৎসাহ বাড়বে দেশের সামরিক ইতিহাস নিয়ে।
পাশাপাশি, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে পর্যটকদের আগমন হলে অর্থনৈতিক অবস্থাও উন্নত হবে কিছুটা। বৃদ্ধি পাবে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা। সীমান্তবর্তী অঞ্চলে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আগমনের ফলে অনেকেই বাণিজ্যিক সুবিধা পাবেন। এমনকি কাজের সন্ধানে এলাকা ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যাওয়ার প্রবণতাও কমবে অনেকটা।