চিন, পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে জোরদার পরিকল্পনা ভারতীয় সেনার! ঘুম উড়বে এই দুই শত্রু দেশের

বাংলাহান্ট ডেস্ক: লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে (LAC) মাঝে মধ্যেই চিনা সেনার (PLA) সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। যা নিয়ে চিনের (China) সঙ্গে ভারতের (India) বিরোধ আরও তীব্র হচ্ছে। চিন নিজের সামরিক শক্তি বাড়ানোর দিকে জোর দিচ্ছে। মূলত পরমাণু শক্তি বৃদ্ধির দিকে জোর দিচ্ছে চিন। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী ২০৩৫ সালের মধ্যে ৯০০টি পারমাণবিক অস্ত্র (Nuclear weapons) বানিয়ে ফেলবে চিন। যা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছে বিশ্ব। 

তবে ভারতও পিছিয়ে নেই। এমন এক ধূর্ত প্রতিবেশীকে পর্যদুস্ত করতে তৈরি হচ্ছে ভারতও। ভারতীয় বিজ্ঞানীরা ক্রমাগত ‘লং-রেঞ্জ’ বা বেশি দূরত্বের অস্ত্র নির্মাণের উপর কাজ করে চলেছেন। ভারতও নিজেদের সামরিক শক্তি বাড়ানোর দিকে জোর দিয়েছে। চিন ও পাকিস্তানের থেকে ক্রমাগত আক্রমণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ভারতীয় সেনার আধুনিকরণের দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে।

indian army

একইসঙ্গে জোর দেওয়া হচ্ছে প্রযুক্তির উপরও। একইসঙ্গে ভারতীয় সেনা নিজেদের শক্তি বাড়ানোর দিকেও জোর দিচ্ছে। যেমন ‘লং-রেঞ্জ’ অস্ত্র, সোয়ার্ম ড্রোন, রিকনেসান্স ফাইটার, জাম্বো জেট এবং নজরদারি ডিভাইস তৈরির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে রাতে যুদ্ধ করতে পারবে এমন অস্ত্র তৈরির দিকেও জোর দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। 

ভারতীয় সেনায় এই মুহূর্তে ১২ লক্ষ সদস্য রয়েছেন। তাঁদের আরও মজবুত করতে ক্রমাগত ‘টুথ-টু-টেল’ অনুপাতের উন্নতি করা হচ্ছে। সহজ ভাষায়, যে বাহিনী যুদ্ধে লড়ছে তাদের বলা হয় টিথ। যে বাহিনী তাদের অন্য ভাবে সাহায্য করছে তাদের বলা হয় টেল। এই অনুপাতই আরও মজবুত করার দিকে জোর দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। তাঁদের সব রকম সাহায্য করছে ভারত সরকারও।

indian army

একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, গত তিন অর্থবর্ষে ৬১টি চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে। এগুলির মোট মূল্য ৯১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৭৬ হাজার ৫৪৪ টাকার ৪৪টি চুক্তি সরকারি সংস্থা-সহ অন্যান্য দেশীয় সংস্থার সঙ্গেই হয়েছে। এছাড়াও জরুরি ক্রয়ের অধীনে ৬৮টি চুক্তি করেছে সেনাবাহিনী। পাশাপাশি, আরও ৮৪টি অন্যান্য জরুরি ক্রয়ের চুক্তির জন্য আলোচনা চলছে।

শক্তি বাড়ানোর জন্য ড্রোন কেনার উপর জোর দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। ইতিমধ্যেই এটি নিয়ে আলোচনা চলছে। সূত্রের খবর, চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিল নাগাদ ৪ সেট সোয়ার্ম ড্রোন পেতে পারে সেনা। এগুলির মাধ্যমে প্রায় ৫০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নজরদারি চালানো যাবে। এক একটি সোয়ার্ম ড্রোনে ৫০টি ড্রোন থাকবে। এগুলি ১ কেজি থেকে ৫ কেজি অবধি বোমা বহন করতে সক্ষম। 

এছাড়াও বেশি উচ্চতার পাহাড়ি অঞ্চলের জন্য ৪০০টি ড্রোন কিনছে সেনা। মরুভূমি ও সমতলের জন্য ২৫০টি ড্রোন যোগ করা হবে বাহিনীতে। সাম্প্রতিক পাকিস্তান ও চিনের বিরুদ্ধে চলা উত্তেজনার কারণে ভারত তাদের বাহিনীকে আরও মজবুত করতে চাইছে। আরও বেশি পরিমাণে অত্যাধুনিক কামান, মিসাইল, রকেট ইত্যাদি জিনিস বাহিনীতে সামিল করতে চাইছে সেনা। এছাড়াও কে-৯ বজ্র এবং পিনাকা রকেট সিস্টেমের মতো প্রাণঘাতী অস্ত্র সামিল করা হয়েছে। 


Subhraroop

সম্পর্কিত খবর