বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জম্মু কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার নিয়ন্ত্রণ রেখার শহীদ হওয়া ভারতীয় জওয়ান লক্ষ্মণ জাট আর একমাস পরেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতেন। লক্ষ্মণের বিয়ে নিয়ে বাড়িতে প্রস্তুতিও চলছিল।
শহীদ জওয়ান লক্ষ্মণ যোধপুরের বিলাড়ার খেজড়লা গ্রামের বাসিন্দা। লক্ষ্মণ জম্মু কাশ্মীরে পাকিস্তানের তরফ থেকে রাজৌরি সেক্টরে করা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনে আহত হয়েছিলেন। সেনা হাসপাতালে ওনার চিকিৎসা করা হচ্ছিল। কিন্তু আপ্রাণ চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচাতে পারেন নি ডাক্তাররা। মাত্র ২১ বছর বয়সেই দেশের জন্য প্রাণ দিয়ে দিলেন লক্ষ্মণ। এলাকার ছেলের শহীদ হওয়ার খবর পাওয়ার পর খেজড়লা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে।
শহীদ লক্ষ্মণের বাবা চাষাবাসের কাজ করেন। লক্ষ্মণের পরিবারে তাঁর বাবা-মা ছাড়া তাঁর ছোট বোনও আছে। গোটা পরিবার লক্ষ্মণের বিয়ে নিয়ে খুবই আনন্দিত ছিল। আগামী মাসেই লক্ষ্মণের বিয়ে হত। আর লক্ষ্মণ বিয়ের জন্য ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসত।
প্রতিরক্ষা মুখপাত্র জানান, পাকিস্তানি সেনা রাজৌরি জেলার সুন্দরবনি সেক্টরে বিনা প্ররোচনায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে। পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনে ২১ বছর বয়সী লক্ষ্মণ জাট গুরুতর আহত হন। এবছর পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ফলে শহীদ হওয়া চতুর্থ জওয়ান হলেন লক্ষ্মণ।
বিয়ের আগে পাকা বাড়ি বানানোর কাজ চলছিল লক্ষ্মণের। পরিজনেরা জানান, একদিন আগেই বাড়িতে ফোন করে নতুন ঘরের নির্মাণ কাজ কতদূর এগোল সেটা জানতে চেয়েছিল লক্ষ্মণ।