বাংলাহান্ট ডেস্ক : দৈর্ঘ্যতে মোটে ৪ ইঞ্চি। ওজনও নামমাত্র। অথচ এই খুদে যন্ত্রটিই সাক্ষাৎ যম হয়ে উঠেছে উপত্যকার জঙ্গিদের কাছে। জম্মু ও কাশ্মীর উপত্যকায় জঙ্গি দমনে দারুণ খেল দেখাচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) এই অস্ত্র। আকারে ছোটখাটো হলেও এর বিশেষত্ব এবং কার্যক্ষমতা রীতিমতো তাক লাগানো। জঙ্গি উপদ্রুত এলাকাগুলিতে ভারতীয় সেনার (Indian Army) ব্রহ্মাস্ত্র হয়ে উঠেছে এই বিশেষ যন্ত্র।
জঙ্গিদের যম ভারতীয় সেনার (Indian Army) এই অস্ত্র
হ্যাঁ, যন্ত্রই বটে। যাকে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ বলা হচ্ছে আদতে সেটি একটি ড্রোন। দৈর্ঘ্যে মাত্র ৪ ইঞ্চির, ওজনে ৩৩ গ্রাম। হেলিকপ্টারের মতো দেখতে এই খুদে ড্রোনের কিন্তু এক গালভরা নামও রয়েছে। ‘ব্ল্যাক হরনেট’, বাংলায় ‘কালো ভ্রমর’। ছোটখাটো হওয়ায় জঙ্গি ঘাঁটি খুঁজে বের করতে জুড়ি মেলা ভার এই অস্ত্রের। কার্যত অদৃশ্য থেকে জঙ্গলের মধ্যে শত্রুদের গোপন ঘাঁটি খুঁজে বের করে সেনাদের (Indian Army) এই অস্ত্র। লাইভ ভিডিওতে তুলে ধরে শত্রুদের কার্যকলাপ। উপত্যকায় জঙ্গি দমনে বড় ভূমিকা পালন করছে কালো ভ্রমর।
কী কী বিশেষত্ব রয়েছে ড্রোনের: আকারে ছোটখাটো হলেও এই ড্রোনের ক্ষমতা কিন্তু চমকে দেওয়ার মতোই। এর রেঞ্জ ২ কিলোমিটার পর্যন্ত। আকারে ছোট হওয়ায় সহজেই আড়াল করতে পারে নিজেকে। রিমোর্ট কন্ট্রোলড ড্রোন হলেও অটো পাইলট মোডও রয়েছে। একটানা ২০ মিনিট পর্যন্ত ওড়ানো যায় এই ড্রোন। ঘন্টায় সর্বোচ্চ ২১ কিমি বেগে ওড়ার ক্ষমতা রয়েছে সেনার (Indian Army) এই ড্রোনের।
আরো পড়ুন : দুই সহকর্মীর ভুল বোঝাবুঝিতে মর্মান্তিক মৃত্যু! বিহারের স্টেশনে কী ঘটেছিল শনিবার? জানলে শিউরে উঠবেন
জঙ্গি দমন ছাড়াও রয়েছে আরো ব্যবহার: জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি নিকেশ অভিযানে ভারতীয় সেনাকে (Indian Army) বড়সড় সাফল্য এনে দিয়েছে এই ড্রোন। এখনো পর্যন্ত বেশ কিছু অভিযানে ব্যবহার করা হয়েছে এই ড্রোন। এছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সন্ত্রাসবাদীদের হাত থেকে পণবন্দীদের উদ্ধার করার মতো কাজেও সেনার সাহায্যে এসেছে এই ড্রোন।
নরওয়ের প্রক্সি ডায়নামিক সংস্থা এই ড্রোনের নির্মাতা। তবে কথাতেই আছে, ভালো জিনিসের মূল্যও দিতে হয়। ভারতীয় সেনার এই বিশেষ ড্রোনের দামের অঙ্কটাও কিন্তু চমকে দেওয়ার মতোই। ভারতীয় মুদ্রায় ১ কোটি টাকা দাম এক একটি ব্ল্যাক হর্নেট ড্রোনের।